প্রকৃতির ‘তাণ্ডবে’ রেহাই পাচ্ছে না উত্তরাখণ্ড। বৃষ্টি-বন্যা-ধসে বিপর্যস্ত দেবভূমি। লাগাতার বৃষ্টিতে জোশীমঠের একাধিক বাড়িতে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। টানা বৃষ্টিতে ফের জোশীমঠের একাধিক জায়গায় পাহাড়ি ধস নেমেছে। জানা গেছে, একটি দোতলা বাড়ি ধসের কারণে ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে। বাড়িটিতে কয়েকজন শ্রমিক ছিলেন। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে নেমে তাঁদের তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের এখনও খোঁজ মেলেনি।অনুমান করা হচ্ছে ধ্বংসস্তুপের নীচে রয়েছেন অনেক গ্রামবাসী।
আরও পড়ুন:প্রবল বৃষ্টিতে হিমাচলে মৃ.ত্যু বেড়ে অন্তত ৬০! উত্তরাখণ্ডে জারি লাল সতর্কতা
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার জোশীমঠে হুড়মুড়িয়ে ধস নামার জেরে গুঁড়িয়ে যায় একটি বাড়ি। বদ্রীনাথ হাইওয়ের পাশেই ছিল বাড়িটি। দুর্ঘটনার সময় বাড়ির ভিতরে ৮ থেকে ১০ জন ছিলেন বলেই জানা গেছে। এদের মধ্যে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ভিতরে এখনও আরও কয়েকজন আটকে রয়েছেন বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
অলকানন্দা নদীর পাড়ে রাস্তা কাটার কাজ হচ্ছিল। সেখানের শ্রমিকেরাই বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ওই বাড়িটিতে গিয়েছিলেন। তখনই বিপত্তি ঘটে । আচমকা ধসে পড়ে বাড়িটি। চাপা পড়ে যান সকলে। প্রশাসনের তরফে এখনও মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা জানানো হয়নি।
জোশীমঠে বিপর্যয়ের সূত্রপাত নতুন বছরের একেবারে গোড়ায়। জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে শহরের একাধিক বাড়িতে হঠাৎ ফাটল দেখা দেয়। ক্রমশ চওড়া হয় সেই ফাটল। কোনও কোনও বাড়ি চোখের সামনে ভেঙে পড়ে হুড়মুড়িয়ে। জোশীমঠ শহরটি মূলত ভূমিধসপ্রবণ এলাকার উপরেই তৈরি। তাই সেখানকার মাটি আলগা। তার উপর অবাধে পাহাড় কেটে নগরের সম্প্রসারণ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, জাতীয় সড়ক চওড়া করার কাজ চলায় শহরের ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বৃষ্টি হলেই মাটি ধসে পুরনো বাড়িগুলি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।