মঙ্গলবারই স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। আর সেই দিনকে মাথায় রেখেই এবার খারাপ সময় কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার পথে হরিয়ানার নুহ (Haryana Nooh)। হিংসার আবহ থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছেন জেলার সাধারণ মানুষজন। আর প্রথম ধাপ হিসাবে নুহ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet Service) চালু করল সরকার। দীর্ঘ ১৩ দিন পর ইন্টারনেট চালুর পথেই হাঁটল ডবল ইঞ্জিন মনোহরলাল খট্টর সরকার (Manohar Lal Khattar Govt)। এমনকি নাগরিকদের জন্যও জরুরী ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet Service) ফেরানো হয়েছে নুহ-তে। পাশাপাশি দু’দিনের জন্য কারফিউ (Curfew) তুলে নিয়েছে পুলিশ। তবে বিজেপি সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পরে সরব বিরোধীরা। ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করে আখেরে অশান্তিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে ডবল ইঞ্জিন সরকার।
গত ৩১ জুলাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ব্রজ মণ্ডল যাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে ওঠে হরিয়ানার নুহ। গুরুগ্রাম-আলোয়ার হাইওয়েতে মিছিল পৌঁছলেই বাধা দেয় একদল যুবক। তারা মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। তার জেরেই শুরু হয় তুমুল অশান্তি। পাশাপাশি গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটে। হামলা চালানো হয় ধর্মীয় স্থানেও। যদিও এই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। আহত হয়েছেন বহু। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ২২৭ জনকে। আটক করা হয়েছে কমপক্ষে ৯০ জনকে।
ইতিমধ্যে হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৫৯টি এফআইআর দায়ের করেছে হরিয়ানা পুলিশ। তবে এখনও বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ। তবে খট্টর প্রশাসনের দাবি, নুহের রেশ যাতে পাশের জেলাগুলিতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সেখানকার কয়েকটি অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল খট্টর প্রশাসন। তবে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলেও সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নজরদারি শুরু করেছে সরকার।
.