তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই ‘ইন্ট্রো’র নামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ব়্যাগিংয়ের ভয়াবহ চিত্র সামনে উঠে আসছে। যে তিনদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেনস হোস্টেলে স্বপ্নদীপ কুণ্ডু (Swapnadep Kundu) ছিলেন তার মধ্যে দুদিন রাতে 5 ঘণ্টা করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে তাঁকে। এমনকী, ঘামলেও হাত দিয়ে তা মোছার ‘অনুমতি’ দেয়নি সিনিয়র দাদারা। ঘাম মুছতে হয়েছে দেওয়ালে মুখ ঘসে। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর তদন্তে বেআব্রু হয়ে যাচ্ছে 5 star বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরমহল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের একদল পড়ুয়া ও প্রাক্তনীর কাণ্ড রীতিমতো মতো ভয়ের। নতুন পড়ুয়া হস্টেলে এলেই তাঁকে পেরোতে হতো ‘ইন্ট্রোডাকশন’ পর্ব অর্থাৎ সিনিয়রদের নিজের সম্পর্কে বলা। আর সেই পর্বটা সাংঘাতিক। পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলা বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুকে সিনিয়রদের ঘরে যেতে হয়েছিল রাত ১১ টায়। ভোর সাড়ে ৩টে পর্যন্ত সেখানে তাঁকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পা ব্যথা করলেও বসার অনুমতি পাননি তিনি। ঘেমেনেয়ে গেলেও ছিল না বসার উপায়। কারণ তার অনুমতি দেয়নি সিনিয়র দাদারা। ঘাম মুছতে হয়েছে দেওয়ালে মুখ ঘসে।
স্বপ্নদীপ মৃত্যুর তদন্তে ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই র্যাগিং চক্রে আরও বেশ কয়েকজনের যোগ রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে পুরো চক্রের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন:হাড়োয়ায় গু*লিবিদ্ধ তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী, তদন্তে পুলিশ