১৫ আগস্ট শেষবারের মতো পতাকা তুলবেন মোদি! বাংলা নিয়ে মিথ্যাচারের জবাব তৃণমূলের

0
3

শনিবার বিজেপির পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে বাংলার ভোট হিংসা প্রসঙ্গ নিয়ে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মিথ্যাচারের জবাব দিল তৃণমূল (TMC)। বাংলায় একের পর এক নির্বাচনে কোণঠাসা হয়ে প্রধানমন্ত্রী অশান্তির সমস্ত দায়ভার চাপিয়েছে তৃণমূলের ঘাড়েই। এদিন মোদির তোপ বাংলার নির্বাচনে অশান্তি পাকিয়েছে তৃণমূল। নির্বাচনের সময় ‘রক্তের খেলা’ খেলেছে। এরপরও মানুষ ভোট দিয়েছে বিজেপিকে (BJP)। আর প্রধানমন্ত্রীর এমন মিথ্যা অভিযোগকে এদিন নস্যাৎ করে দিল তৃণমূল। শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে মোদির মন্তব্যের কড়া জবাব দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, মোদিজি বাংলা নিয়ে ভীত। বাংলাকে ভয় পাচ্ছেন। তাই কুৎসা, এজেন্সিরাজ চালাচ্ছেন।

কুণালের আরও অভিযোগ, একদিকে কেন্দ্রের মোদি সরকারই বাংলার সরকার প্রথম পুরষ্কার দিয়ে সম্মানিত করে। আর অন্যদিকে বিচ্ছিন্নতার রাজনীতি করছে। এরপরই আইএসএফ ও কংগ্রেসকে দিয়ে হানাহানির রাজনীতি করে বাংলাকে অশান্ত দেখানোর জন্য মুখিয়ে থাকেন মোদি সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু মণিপুরে লাগাতার অশান্তি চললেও সেখানে যাওয়ার কোনও উচ্যবাচ্য করেননি মোদিজি। এরপরই কুণাল প্রশ্ন তোলেন, বাংলা বিজেপিকে হারানোর পথ দেখিয়েছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় মোদির এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। মোদিজি শুধু কাচের ঘরে বসে দুর্নীতি নিয়ে ঢিল ছুঁড়তে ব্যস্ত। অন্য দলে থাকলে দুর্নীতিপরায়ণ কিন্তু বিজেপিতে গেলেই ওয়াশিং মেশিনে সাদা। এরপর কুণাল মনে করিয়ে দেন, ২০২৩ এর ১৫ আগস্ট শেষবারের জন্য পতাকা তুলবেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪-এ ইন্ডিয়া জোটের (INDIA) প্রধানমন্ত্রী পতাকা তুলবেন।

অন্যদিকে রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা (Sashi Panja) বলেন, আমদের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে তাঁর মতামত জানিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে দুটি বিষয় চলছে। উনি সাংবাদিকদের সামনে আসেন না। আর মিথ্যা ভাষণ দেন। চব্বিশের লোকসভাকে সামনে রেখে বিজেপি বুঝতে পারছে জনসমর্থন তাদের পক্ষে নেই। এরপরই প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দেগে শশী বলেন, মোদিজি যেখানেই থাকুন বাংলাকে কালিমালিপ্ত করবেন। তবে বাংলা কিন্তু সফট টার্গেট নয় একথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন। আর সেটাই নিতে পারছেন না মোদি। এরপরই আদিবাসীদের উপর অত্যাচারের পরিসংখ্যান তুলে উত্তর প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের অবস্থার কথা তুলে ধরেন শশী। মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েতে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। আর তা দেখেই বেজায় চটেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী ১০০ দিন পেরিয়ে গেলেও কেন মণিপুরে গেলেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এরপরই মোদির উদ্দেশে শশী মনে করিয়ে দেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলবেন কবে? জাতিদাঙ্গা করা ছাড়া আপনার কোনও উদ্দেশ্য নেই।