সমর্থকদের ভালোবাসা মন ছুঁয়েছে নন্দকুমারের, ডার্বি জয়ে উচ্ছ্বসিত লাল-হলুদ কোচ

0
2

খরা কাটল। দীর্ঘ ১৬৫৭ দিন পর ডার্বি জয় ইস্টবেঙ্গলের। শনিবার ডুরান্ড কাপে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মরশুমের প্রথম ডার্বির রং লাল-হলুদ। এদিন মোহনবাগানকে ১-০ গোলে হারায় লাল-হলুদ। এই জয়ের ফলে ম‍্যাচে রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই লাল-হলুদ পতাকা হাতে মাঠে নেমে গিয়েছিলেন ভক্তরা। ডার্বির নায়ক নন্দকুমারকে রীতিমতো নাড়া দিয়ে গিয়েছে এই আবেগ। অন্যদিকে, কোচ হিসেবে অভিষেক ডার্বি জিতে খুশি কার্লোস কুয়াদ্রাত। এই জয় তিনি উৎসর্গ করলেন লাল-হলুদ সমর্থকদের।

এদিন ম‍্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে কুয়াদ্রাত বলেন,” এই জয় আমাদের দলের তরফ থেকে সমর্থকদের উপহার। এতদিন পর ওঁরা প্রাণখুলে আনন্দ করতে পারছেন, এটাই আমাকে তৃপ্তি দিচ্ছে।” তবে ডার্বি জিতেই কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন না ইস্টবেঙ্গল কোচ। তিনি বলেন, “মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে পেরে ভাল লাগছে। তার থেকেই বেশি খুশি দলের খেলায়। ফুটবলাররা মাঠে নেমে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে। তবে এটা একটা জয় মাত্র। আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া।” কলকাতায় পা রাখার পর থেকেই ডার্বি জিততে হবে এই দাবিটা শুনে আসছেন কুয়াদ্রাত। তাঁর হাত ধরেই দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর ফের হাসি ফুটেছে লাল-হলুদ জনতার মুখে।

এদিকে এই মরশুমে ওড়িশা থেকে ইস্টবেঙ্গলে সই করেছেন নন্দকুমার। আর প্রথমবার ডার্বিতে নেমেই অসাধারণ গোল করে দলকে জিতিয়েছেন। এই জয়ে উচ্ছ্বসিত ডার্বির নায়ক। নন্দের বক্তব্য, কোচ বলেছিলেন ডার্বি ম্যাচের কথা ভেবে মাঠে নেমো না। বরং সাধারণ ম্যাচ ভেবেই খেলো। তাই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। তবে গোল করব ভাবিনি। ম‍্যাচ শেষে নন্দ বলেন, “এমন শট নিয়মিত অনুশীলন করে থাকি। তবে ডার্বিতে গোল করার অনুভূতি অসাধারণ। ম্যাচের পর সমর্থকরা যেভাবে মাঠে নেমে আনন্দ করছিলেন, তা কোনওদিন ভুলতে পারব না। এমন উন্মাদনা আগে দেখিনি। এই পরিবেশে খেলা যে কোনও ফুটবলারের স্বপ্ন।”

আরও পড়ুন:মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ আনল লাল-হলুদ, ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ