ডার্বির রং লাল-হলুদ। মরশুমের প্রথম ডার্বির জয় ইস্টবেঙ্গল এফসির। এদিন ডুরান্ড কাপের ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে ১-০ গোলে হারাল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন নন্দকুমার। এই জয়ের ফলে ২০১৯ সালের পর আবার ডার্বি জয় লাল-হলুদের। কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াল ইস্টবেঙ্গল।
নয়ে নয় হলো না মোহনবাগানের। মরশুমের প্রথম ডার্বিতে হার সবুজ মেরুনের। ম্যাচে এদিন প্রথম থেকেই চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণে লড়াই। এদিন সাদিকুকে দলে রেখেই টিম সাজায় জুয়ান ফেরান্দো। শুরুতেই আক্রমণে যায় মোহনবাগান। ম্যাচের শুরুতে সাদিকুর একটি শট একটুর জন্যে বাইরে চলে যায়। পাল্টা আক্রমণে ঝাপায় ইস্টবেঙ্গলও। ১১ মিনিটে সুযোগ চলে আসে লাল-হলুদের সামনে। খাবরা একটি লম্বা কিকের মাধ্যমে বক্সের মধ্যে বল পাঠান। এলসে সেই বল হেডে জালে জড়াতে গেলে সেভ করেন বাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। এরপর ফ্রিকিক থেকে বল পেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের জর্ডান। তাঁর হেড সরাসরি গোলকিপারের হাতে লাগে। ফের সুযোগ চলে আসে ইস্টবেঙ্গলের সামনে। এবার সিভেরিয়োর থেকে পাস পান নন্দকুমার। কিন্তু একটু জোরে পাস দেওয়ায় বিশাল এগিয়ে এসে বল তালুবন্দি করেন। ম্যাচের ২১ মিনিটে প্রতি আক্রমণে উঠে মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসো বল বাড়ায় সাদিকুকে। সাদিকু আবার পাস বাড়ান বৌমাসকে। ২০ গজ বাইরে থেকে বৌমাস জোরালো শট মারেন। তবে তিনি বল গোলে রাখতে পারেননি। এরপর পাল্টা আক্রমণে ঝাঁপায় কুয়াদ্রাতে দল। ৩৭ মিনিটে বোরহা মাঝমাঠ থেকে বল পাঠান মোহনবাগান বক্সের ভিতর নওরেম মহেশকে। তবে আশিস রাই এবং কাইথ সেই প্রচেষ্টাকে আটকে দেন। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে হলুদ কার্ড দেখেন লাল-হলুদ অধিনায়ক হরমনজিৎ সিং খাবরা। লিস্টনকে অবৈধ ভাবে ট্যাকল করার শাস্তি পান তিনি। খাবরা ফাউল করায় ফ্রি-কিক পায় মোহনবাগান। বৌমাস ফ্রি-কিক নেন। প্রথমার্ধে আক্রমণে গেলেও গোলের দরজা খুলতে ব্যর্থ হয় দু’দল। যার ফলে প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল থাকে গোলশূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া পরিবর্তন করেন জুয়ান। সাদিকুকে বসিয়ে বিশ্বকাপার জেসন ক্যামিন্সকে নামান বাগান কোচ। নামান হয় পেত্রাতোসকে। তবে এরপর যেন আরও বাগানকে চেপে ধরে কুয়াদ্রাতের দল। যার ফলে ম্যাচে ৬০ মিনিটে গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদকে ১-০ এগিয়ে দেন নন্দকুমার। ক্রেসপোর পাস ধরে একাই আক্রমণে উঠেছিলেন নন্দকুমার। বিপক্ষের ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে অসাধারণ গোল করেন নন্দকুমার। অনিরুদ্ধ থাপা তাঁকে আটকাতে এলে তাঁকে ডজ দিয়ে বাঁ-পায়ে শট নেন নন্দ। সেকেন্ড পোস্টে রাখেন বল। বিশাল কাইথের কিছুই করার ছিল না। একক দক্ষতার অসাধারণ গোল নন্দকুমারের। এরপর ম্যাচে সাহাল আব্দুল সামাদকে মাঠে নামান জুয়ান। এরপর ম্যাচের ৮০ মিনিটে সুযোগ চলে আসে বাগানের সামনে। বল জালে রাখতে ব্যর্থ হন ক্যামিন্স। এরপর পাল্টা আক্রমনে যায় লাল-হলুদ। বল নিয়ে সুন্দর এগোন নন্দকুমার। কিন্তু বল ক্লিয়ার করে দেন সুভাশিস বোস। এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি লাল-হলুদ।
ম্যাচে এদিন প্রথম থেকেই অনেক ঝলমলে ইস্টবেঙ্গল। কুয়াদ্রাতের দল আত্মবিশ্বাস নিয়েই যে মাঠে নামে তা বোঝা যায় খাবরাদের ম্যাচ দেখে। অপর দিকে মোহনবাগান শুরুটা ভাল করলেও পরের দিকে একটু ছন্নছাড়া লেগেছে। ম্যাচে নজর কাড়তে ব্যর্থ ক্যামিন্স, সামাদরা।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে নামছে ভারতীয় দল, সমতা ফেরাতে মরিয়া হার্দিকরা