ডিএড বা ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। বিএড ডিগ্রিধারীরা উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, গোটা দেশজুড়েই এই নীতি কার্যকর করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছলো প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানির মামলা
সাধারণ ভাবে বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে পারেন। সেখানে ডিএলএড এবং ডিএড প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করা যায়। এই প্রসঙ্গ তুলে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘যে হেতু ডিএলএড এবং ডিএড ডিগ্রিধারীরা প্রাথমিক স্তরে পড়ানোর জন্য বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাই তাঁদেরই প্রাথমিকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করা উচিত। বিএড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ করা হোক মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে’।
এত দিন জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদ (এনসিটিই)-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী,শুধু বিএডরা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রাথমিকেও সুযোগ পেতেন। কিন্তু ডিএলএডদের সেই সুযোগ ছিল না। তাঁরা শুধু প্রাথমিকেই বসার সুযোগ পেতেন। এনসিটিই-র ওই নির্দেশিকা চ্যালেঞ্জ করে দেশজুড়ে মামলা করেন ডিএলএডরা। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ডিএড বা ডিএলএড ডিগ্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্য নির্দিষ্ট। আর উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বিএড বাধ্যতামূলক। তাই চাকরিতে সুযোগের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট করে কোর্স থাকা প্রয়োজন। কারণ,বিএডদের প্রাথমিকের চাকরিতে সুযোগ দেওয়া হলে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ডিএলএডদের।
প্রসঙ্গত,গত বছর রাজ্যের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, বিএড প্রশিক্ষিতরাও প্রাথমিকের চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আজ, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চের নয়া রায়ের ফলে ওই নির্দেশ খারিজ হয়ে গেল।এর জেরে বিপাকে পড়তে চলেছেন বিএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.