চিকিৎসক মৃ.ত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়! দেহের ক্ষত নিয়ে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের

0
1

চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের (Pragyadeepa Halder) মৃত্যুতে আরও রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। এবার চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জানিয়েছেন, চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা একেবারেই সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়! এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, যদি গলায় দড়ি দিয়ে মৃত্যু হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে মৃত চিকিৎসকের দেহে ১৪টি ক্ষত কিসের? তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন।

পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এই বিষয়ে চিকিৎসক আলাদা করে কেন কোনওকিছু উল্লেখ করলেন না তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এরপরই নিহত চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএমের (SSKM) চিকিৎসকদের দেখিয়ে ফের মতামত নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তবে নিহত চিকিৎসকের পরিবারের আইনজীবীর অভিযোগ, মেয়ের মৃত্যুর পরও পুলিশ মায়ের কোনও জবানবন্দি নথিভুক্ত করেনি। এরপরই মৃতের মায়ের সাক্ষ্য গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।

চলতি বছরের ১৯ জুন ব্যারাকপুর সেনা ছাউনির অফিসার্স কোয়ার্টার্স ম্যান্ডেলা হাউসের ২০ নম্বর ফ্ল্যাটের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের ঝুলন্ত দেহ। ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবার সূত্রে খবর, সেনাবাহিনীর চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রজ্ঞাদীপার। তাঁরা একসঙ্গে লিভ ইনে থাকতেন। ঘটনার পর পুলিশ কৌশিককে হেফাজতেও নেয়। পরে জামিনে মুক্তি পান কৌশিক।