মুসলিম ব্যবসায়ীদের প্রবেশ নিষেধ, হরিয়ানার ৫০ পঞ্চায়েতের তরফে নোটিশ জারি

0
1

ধর্মীয় হিংসাকে কেন্দ্র করে গত ১ সপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত হরিয়ানার(Haryana) একাধিক জেলা। এরইমাঝে বিতর্ক আরও উস্কে দিয়ে হরিয়ানার ৩ জেলার ৫০ টি পঞ্চায়েত জারি করল নোটিশ। যেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে অশান্ত এলাকায় মুসলিম ব্যবসায়ীদের প্রবেশ নিদেশ। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট গ্রামগুলিতে মুসলিম নাগরিকদের পুলিশের(Police) কাছে নিজেদের পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গিয়েছে, যে সকল পঞ্চায়েতে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেখানকার বেশিরভাগ গ্রামেই সঙ্খ্যালঘু হাতে গোনা। তবে কিছু জায়গায় মুসলিম পরিবারগুলি ৪ পুরুষ ধরে সেখানে বসবাস করছে। ফলে এহেন নির্দেশিকায় আতঙ্কে স্থানীয় মুসলিম পরিবারগুলি। এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে মহেন্দরগড়ের জেলাশাসকের মনোজ কুমার জানান, এই ধরনের চিঠি সম্পূর্ণ বেআইনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি। ওই পঞ্চায়েতগুলিকে শো কজ নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, “গ্রামগুলিতে সংখ্যালঘুর নাগরিকের সংখ্যা ২ শতাংশেরও কম। সকলে মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করেন। এই ধরনের নোটিশের ফলে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।” এদিকে এই বিষয়ে মহেন্দরগড়ের সাইদপুরের পঞ্চায়েত প্রধানের সাফাই, গত জুলাই মাসে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে গ্রামে। নুহ-র গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরে এলাকায় বাইরের লোক ঢুকছে। ১ আগস্ট পঞ্চায়েতের একটি বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত নিই, গ্রামে শান্তি বজায় রাখতে ওদের এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে। যদিও আইনজীবীর পরামর্শে তা পরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তা কীভাবে ভাইরাল হল জানি না।

প্রসঙ্গত, ৩১ জুলাই ধর্মীয় মিছিলে অশান্তি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হরিয়ানা। নুহ সংঘর্ষস্থল হলেও হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে গুরুগ্রামেও। মৃত্যু হয় ছ’জনের। তারপর দুই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতেই বুলডোজার গুঁড়িয়ে দেয় আড়াইশোরও বেশি ঝুপড়ি। সেগুলি ছিল ভিনরাজ‌্য থেকে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের। প্রশাসনের দাবি, যারা অশান্তি বাঁধিয়েছিল, তাদেরই বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘর ভেঙেছে পরিযায়ীদেরই, যাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ বাংলার মানুষ। পাশাপাশি বেছে বেছে বুলডোজার চালানো হয় সংখ্যালঘুদের উপর। মুখ‌্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের নির্দেশেই ওই বুলডোজার চালানো হয়। যদিও পরে এই বুলডোজার অভিযানের উপর স্থগিতাদেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।