অশান্তির আগুন থেকে কিছুতেই বের হতে পারছে না ভাঙড়। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভাঙড়। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা পুলিশের আওতায় ভাঙড়কে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অশান্তি না হয় তার জন্য আগাম সতর্ক প্রসাশন। আজ থেকে আগামী রবিবার পর্যন্ত জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
তার মাঝে ফের সংঘর্ষের ঘটনা। ফের রাজনৈতিক হিংসায় জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল-আইএসএফ। ‘হাতুড়ির আঘাতে’ মাথা ফাটল শাসকদলের নেতার! চলল বোমাবাজিও। সূত্রের খবর, ভাঙড়ের ভোগালি-১ নম্বর পঞ্চায়েত এবার জিতেছে তৃণমূল। আগামিকাল, বুধবার বোর্ড গঠন। অভিযোগ, তার আগে এলাকায় অশান্তি পাকাতে মাঠে নামে আইএসএফ।
দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বোমা পড়তে থাকে এলাকা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে তৃণমূলের দাবি, এলাকার এক ব্যবসায়ী আইএসএফ কর্মী। অশান্তির মূলে তিনি। দলবদল নিয়ে তৃণমূল কর্মী ইজাজ খানকে মারধর করেছেন ওই ব্যবসায়ী। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে ভর্তি করা হয় জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
এদিকে ভাঙড়ে ফের জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিমধ্য়েই আমরা দেখেছি, ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। তা সত্ত্বেও মারে কী করে? ও (তৃণমূলকর্মী ইজাজ খান) একা যাচ্ছিল বাইকে করে। আমার সঙ্গে দেখা করে বাড়ি যাচ্ছিল। একাই ছিল। রাস্তার উপরে আক্রমণ করে, গাড়িতে লাঠি মেরে, মাথায় হাতুড়ি মেরে, মারা হয়েছে। মৃত্যু ঘটতে পারত। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। প্রশাসনকে বলেছি, যাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত, যাঁরা ১৪৪ থাকা সত্ত্বেও আক্রমণ করেছে, তাদের গ্রেফতার করার জন্য, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।”
আরও পড়ুন- ডার্বির উত্তাপ, টিকিট বণ্টন নিয়ে অখুশি, বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন লাল-হলুদ কর্তারা