খায়রুল আলম, ঢাকা
বাংলাদেশের কোরান পোড়ানোর ঘটনায় তুলকালাম। আখালিয়ার ধানুপাড়া আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।কয়েক হাজার মানুষ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রবিবার দীর্ঘক্ষণ ওই স্কুল ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের মাধ্যমে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে ওই দু’ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ধৃতদের নাম–নুরুর রহমান ও মেহবুব আলম। যদিও তার আগে ইসলামের পবিত্রতম গ্রন্থটির অবমাননা ও পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগে আটক দুজনকেই বেধড়ক মারধোর করে জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ১৪ জন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন।
পুলিশ আধিকারিক আজবাহার আলি শেখ জানান, কোরান পোড়ানোর ঘটনায় রবিবার রাতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান অন্তত ১০ হাজার মানুষ। অভিযুক্তদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় জনতা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে ৪৫টি কোরান উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের একজন নুরুর রহমান একটি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। তার দাবি, কোরানগুলি পুরনো এবং সেগুলিতে ছাপার ভুল রয়েছে। তাই বইগুলিকে নষ্ট করা হচ্ছিল। ধর্মগ্রন্থগুলিকে অসম্মান করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাদের।
পুলিশ কর্তা আলি শেখ আরও বলেন, কোরান পোড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা এবং তারা ভুল স্বীকার করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদেরকে যে ব্যক্তি কোরান শরিফ দিয়ে গেছেন, তাকে গ্রেফতার করলে বিষয়টি জানা যাবে।তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সম্প্রতি সুইডেন ও ডেনমার্কে কোরান পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। গত জুনে ঈদের দিন সুইডেনের রাজধানী স্টকলহোমে কোরান পুড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান বছর সাঁইত্রিশের ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা। শহরটির সবথেকে বড় মসজিদের সামনে ধর্মগ্রন্থটিকে কুচি কুচি করে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। এরপর থেকেই সুইডেন প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিভিন্ন মুসলিম দেশ।বাংলাদেশের ঘটনা যাতে বড় আকার না নেয় সেদিকে কঠোর নজর রাখছে পুলিশ প্রশাসন।






































































































































