গর্ভস্থ মৃ.ত ভ্রূ.ণকে সুস্থ দাবি চিকিৎসকের! আলট্রাসোনগ্রাফি করতেই প্রকাশ্যে ভ.য়ঙ্কর ছবি

0
1

চিকিৎসায় গাফিলতির (Wrong Treatment) অভিযোগ। যার জেরে প্রাণ গেল গর্ভস্থ ভ্রূণের। অভিযোগ, গর্ভস্থ ভ্রূণের মৃত্যু হয়েছে ৫ মাস বয়সেই। কিন্তু এরপর মাঝে কেটে গিয়েছে ৩ মাস। আট মাসেও ভ্রূণটিকে সুস্থ বলেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু আল্টাসোনগ্রাফি (Ultrasonography) করতেই সামনে এল আসল ঘটনা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠল রানাঘাটের একটি নার্সিং হোম। শেষমেশ গর্ভস্থ মৃত ভ্রূণটিকে অপারেশন করে বের করা হয়। বর্তমানে প্রসূতির অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে খবর। বিষয়টি জানাজানি হতেই চটে লাল প্রসূতির আত্মীয়রা। সোমবার সেই ক্ষোভেই নার্সিংহোমে (Nursing Home) ভাঙচুর চালায় তারা। এদিকে অশান্তির খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও নার্সিং হোম এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

অভিযোগ নার্সিং হোমের কর্মরত চিকিৎসক অনুপম বিশ্বাসের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে গর্ভস্থ ভ্রূণটির। পরিবারের অভিযোগ, রানাঘাট ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রসূতি পূজা রায়ের গর্ভস্থ ভ্রূণের মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগেই। তবে নদীয়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে একাধিকবার পরীক্ষানিরিক্ষা করা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের তরফে কিছুই জানানো হয়নি। উল্টে ওই চিকিৎসক জানান, সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে গর্ভস্থ ভ্রূণটি। তবে কিছুদিন পর আচমকাই প্রসূতির পেটে ব্যথা হওয়ার কারণে আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। আর তখনই আসল ঘটনা সামনে আসে। দেখা যায়, গর্ভস্থ অবস্থাতে অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে ভ্রূণটির। এরপর অপারেশন করে ভ্রূণটিকে গর্ভ থেকে বের করা আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রসূতির শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। তিনি বর্তমানে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি জানাজানি হতেই নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ দেখায় রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। নার্সিংহোমে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। পাশাপাশি অভিযুক্ত চিকিৎসককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রানাঘাট থানার পুলিশ। যদিও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রোগীর বাড়ির তরফে এখনও থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ করা হয়নি।