প্রশাসনিক সুবিধার জন্য বড় জেলাগুলিকে ভেঙে একাধিক নতুন জেলা তৈরির নীতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। নতুন ৭ জেলা তৈরির প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই আরও বেশ কয়েকটি জেলাভাগের বিষয়ে উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে জেলাভাগের জন্য একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নদিয়া, বীরভূম, মালদহ, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুর জেলাকে (Zilla) ভাগ করে আরও নতুন জেলা তৈরি করা যায় কিনা, তা নিয়ে তাদের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিন মাসের মধ্যেই ওই কমিটিকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কমিটিতে রয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মলয় ঘটক। এছাড়াও থাকছেন মুখ্যসচিব, ভূমি সচিব প্রমুখ। এই জেলাগুলিকে কীভাবে ভাগ করা যায় ভৌগোলিক অবস্থান-সহ বিভিন্ন খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ জেলা ভাগ করা নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এর আগেও জেলা ভাগ করা হয়েছে। আরও ৭নতুন জেলা তৈরির প্রক্রিয়াও চলছে।
সেগুলি হল-
রানাঘাট, বসিরহাট, বহরমপুর-কান্দি, জঙ্গিপুর, সুন্দরবন, ইছামতী ও বিষ্ণুপুর।
অর্থাৎ ভাগ হচ্ছে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
এর আগের উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সুন্দরবন ও সন্দেশখালিকে পৃথক করার কথা বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সুন্দরবনের মানুষকে যদি আলিপুরে গিয়ে কাজ করতে হয় আর সন্দেশখালির প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যদি মানুষকে বারাসত যেতে হয় তাহলে যাতায়াতেই তো তাঁদের দু’দিন চলে যাবে। কাজ করবে কখন?

















































































































































