চায়ের দোকানে ঝামেলার জের। অভিযুক্তকে পুলিশ ধরতে গেলেই ভাগীরথীতে (Bhagirathi River) ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হল ১৯ বছরের এক কলেজ পড়ুয়ার (College Student)। বহরমপুরের (Berhampore) সৈদাবাদের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত ওই কলেজ পড়ুয়ার নাম অতনু ঘোষ (Atanu Ghosh)। বহরমপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ আটক করতে গেলেই ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দেয় ওই কলেজ পড়ুয়া। এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার। তবে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে সৈদাবাদ ফাঁড়ির পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে অতনু নামে দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রের মৃতদেহ ভাগীরথী নদী থেকে উদ্ধার হয়। পরে পুলিশ মৃত ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের (Post Mortem) জন্য বহরমপুর মর্গে পাঠায়। মৃত ছাত্রের বাবা নির্মল ঘোষের অভিযোগ, গত কয়েকদিন আগে সৈদাবাদের একটি চায়ের দোকানে ঝামেলা হয়েছিল। সেই ঘটনার পরই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। এদিকে শনিবার বেলা ১২ নাগাদ ছেলে অতনু এক বন্ধুর সঙ্গে বহরমপুরের মনীন্দ্রচন্দ্র বিদ্যাপীঠের মাঠে বসে মোবাইলে খেলছিল। সেই সময় আচমকাই সৈদাবাদ ফাঁড়ির পুলিশ অতনুকে ধরে ফেলে। এরপরই পুলিশের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পাশের ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দেয় অতনু। পরে সারাদিন পেরিয়ে সন্ধে হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি সে। অতনুর মোবাইলের সুইচ অফ দেখেই সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। এরপরই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। ছেলেকে না পেয়ে সৈদাবাদ ফাঁড়ির পুলিশের দ্বারস্থ হন মৃতের পরিবার।
তবে নির্মল ঘোষের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে সৈদাবাদ ফাঁড়ির পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার তারা এলাকায় টহল দিচ্ছিল। পুলিশের ভ্যান এলাকায় পৌঁছলেই নদীতে ঝাঁপ দেয় অতনু। এদিকে বহরমপুর পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিং বলেন, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। পুলিশ অতনু ঘোষ নামে কাউকে গ্রেফতার বা আটক করেনি। পরিবারের তরফ থেকে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।