রাজভবনে ‘পিস রুম’,’অ্য়ান্টি করাপশন সেলে’র পর, এবার রাজ্য়পালের মুখে ‘পিস ট্রেন’।আগেও একাধিকবার রাজ্য়পালের মুখে শোনা গেছিল এই কথা। রবিবার শিয়ালদায় রেলের অনুষ্ঠানে গিয়ে ফের একবার এই মন্তব্য় করলেন রাজ্য়পাল। পাশাপাশি, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে কলকাতা থেকে জলপাইগুড়ি হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত পিস ট্রেন চালানোর অনুরোধ করলেন সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল বলেন, “বাংলার সবথেকে বড় শত্রু হিংসা ও দুর্নীতি। আমরা অশ্বিনী বৈষ্ণবকে কলকাতা থেকে জলপাইগুড়ি হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত ‘পিস ট্রেন’ চালানোর জন্য় অনুরোধ করব।’’
এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, উনি পিস ট্রেনের কথা বলছেন । তার মানে কি ধরে নিতে হবে গোটা দেশে যে ট্রেন চলে তা সব অশান্তির ট্রেন? আসলে রাজ্য়পাল বিজেপির দালালি করছেন। রাজ্য়পাল রাজভবনের টাকায় নিজের বই প্রকাশ করেছেন। কার টাকায় করেছেন তদন্ত চেয়েছি।
কুণাল আরও বলেন, “রাজ্যপাল ,বিজেপি-র দালাল, রাজ্যপাল বিজেপি-র এজেন্ট। সংবিধান বহির্ভূত কাজ করছেন উনি। আগে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অসত্য প্রমাণ করে দেখান। রাজ্যপাল হওয়ার পর ক’টা ফ্লাইটের টিকিট কেটেছেন? ওঁর কে কে বিমানযাত্রা করেছেন? সরকারের টাকা তছনছ করে কতবার উড়েছেন, আগে তার হিসেব দিন উনি।”
গত কয়েকমাস ধরে একের পর এক ইস্যুতে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত লেগেই রয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যপালের সমালোচনা করেন। প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে তুলনাও টানেন তাঁর। মতানৈক্য থাকলেও, ধনকড় কখনও এমন আচরণ করেননি বলেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যের সমালোচনাকে ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল।






































































































































