স্বামী মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন। নিত্যদিন স্বামীর সঙ্গে পুজো করতেন তাঁর স্ত্রীও। কিন্তু মন্দিরের দীর্ঘকালের নিয়ম অনুযায়ী, স্বামীর মৃত্যুর পর আর মন্দিরে ঢুকতে পারেননি বিধবা মহিলাটি। আগামী বুধ এবং বৃহস্পতিবার মন্দিরে বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। মন্দিরে ঢুকতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। স্বাভাবিক নিয়মে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানান, তিনি মন্দিরে ঢুকলে সেখানকার পবিত্রতা নষ্ট হবে।এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন জনৈক বিধবা থাঙ্গমণি। তামিলনাড়ুর ইরোড জেলার নাম্বিয়ুর তালুকের পেরিয়াকারুপরায়ণ মন্দিরের এই মামলার শুনানিতে মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে কড়া ভাষায় রায় দিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, অবিলম্বে মন্দিরে ঢুকতে দিতে হবে ওই বিধবাকে।
আরও পড়ুনঃ ঝাড়খণ্ডে নতুন হাই কোর্ট ভবনের উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি! টুইট করে মোদিকে তো.প সুখেন্দুর
শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি এন আনন্দ ভেঙ্কটেশের পর্যবেক্ষণ, সভ্য সমাজে এই ধরনের নিয়ম কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, “দেশের প্রণম্য ব্যক্তিরা অন্ধবিশ্বাসকে ভাঙার জন্য লড়াই করেছেন। তার পরেও এগুলি চলতে থাকলে তা দুর্ভাগ্যজনক।” এই মামলায় আদালত তার পর্যবেক্ষণে এ-ও জানায় যে, এক জন নারীর নিজস্ব পরিচিতি রয়েছে। সেই পরিচিতি তাঁর বৈবাহিক সম্পর্কের উপরে নির্ভর করে না। ওই বিধবা মহিলা এবং তাঁর পুত্রকে পুলিশি পাহারায় মন্দিরে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানিয়েছেন, যে কোনও মহিলার নিজস্ব সত্তা এবং পরিচিতি রয়েছে, যা তাঁর বৈবাহিক পরিচিতির উপর ভিত্তি করে খর্ব করা যায় না। তাই অভিযোগকারিণী এবং তাঁর ছেলেকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া থেকে আটকানোর কোনও অধিকার নেই মুরলী এবং আইয়াভুর।
আদালত শিরুভালুর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিককে বিষয়টি মুরলী এবং আইয়াভুরকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত আরও জানিয়েছে, মন্দিরে উৎসব চলাকালীন অভিযোগকারিণী এবং তাঁর ছেলে যাতে সেখানে অংশ নিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকেই। যদি দুই অভিযুক্ত কোনও সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে তাহলে পুলিশকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.