বিজেপি সাংসদের গাড়ি ধা.ক্কায় আ.হত তরুণী, হা.সপাতালে পাশে তৃণমূল

0
2

রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পর এবার বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দরজিৎ সিং আহলুওয়ালিয়ার অমানবিক চেহারা দেখল দুর্গাপুর। মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে বিরোধী দলনেতার কনভয়ের গাড়ির ধাক্কায় একজনের মৃত্যু হয়। কিন্তু তিনি যেমন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানোর সৌজন্যটুকুও দেখাননি, রবিবার তেমনই বিজেপি সাংসদের গাড়ির ধাক্কায় জখম মহিলা উষা হাটির কোনওরকম চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে মুখ ঘুরিয়ে চলে যান তিনি। জখম উষাকে রাস্তায় কাতরাতে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এলাকার কাউন্সিলর ও জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্ত। পরে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তাঁর চিকিৎসার তদারকি করেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস।

বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর এলাকার বাসিন্দা উষা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। স্বামী মারা যান কয়েকমাস আগে। তাঁর দুই মেয়ে। রবিবার কালীবাজারের দিক থেকে এসে বীরহাটা মোড়ে জিটি রোডে যখন সাইকেল নিয়ে উঠছিলেন তিনি সে সময় বর্ধমান স্টেশনের দিক থেকে আসা বিজেপি সাংসদের গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে। তিনি জানান, ‘‘গাড়ির ধাক্কায় আমার হাত, কোমর ও কুঁচকিতে আঘাত লাগে। কিন্তু সাংসদ গাড়ি থেকে নামার সৌজন্যটুকুও দেখাননি। শুধু একটু মুখ বাড়িয়ে দেখেন। চিকিৎসা বাবদ কিছু অর্থের সাহায্য প্রার্থনা করলে সাংসদ বলেন, রাস্তা দিয়ে চলতে গেলে কত দুর্ঘটনা ঘটে। সবাইকেই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে নাকি? এই বলেই তিনি দ্রুত গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান।’’ সে সময়ই সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন তৃণমূল নেত্রী শিখা দেবী। তিনি তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যান কাছের এক স্বাস্থ্যশিবিরে। সেখানকার চিকিৎসক এক্স রে-সহ বেশ কিছু পরীক্ষার কথা জানান। খবর পেয়ে বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদ খোকন দাস তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি ফেলে তড়িঘড়ি অসহায় ওই মহিলাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। একই সঙ্গে তাঁর সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করা থেকে যাবতীয় খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন।

তৃণমূল নেত্রী শিখা দেবী বলেন, ‘‘মানবিকতা বলে কিছু নেই বিজেপি সাংসদের। ওঁর গাড়ির ধাক্কায় একজন মহিলা জখম হলেন। অথচ ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থাটুকুও করলেন না। এটাই হল বিজেপি।’’ বিধায়ক খোকন দাস বলেন, ‘‘ওদের মানবিকতা বলে কিছু নেই। এর আগেও বিজেপি নেতার গাড়ির ধাক্কায় মানুষ মারা গিয়েছেন। কিন্তু তিনিও মানবিকতা দেখাননি। এখানেও সাংসদ একই কাজ করেন। জখম মহিলার চিকিৎসা চলছে। আমরা পাশে আছি।’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাংসদ হলেও ওঁকে এলাকায় দেখা যায় না। আজ মানুষ দেখল ওঁর অমানবিকতার নজির।’’

আরও পড়ুন- বাড়ছে আ.ক্রান্তের সংখ্যা, রাজ্যে ডে.ঙ্গি পরিস্থিতি এখনও উ.দ্বেগজনক