বন্দিমুক্তি নিয়েও রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের পথে রাজভবন, ফাইল স্বাক্ষরে নারাজ আনন্দ বোস

0
3

উপাচার্য নিয়োগ, রাজভবনে পিস রুম ও অ্যান্টি কোরাপশন সেল খোলার পরে এবার বন্দি মুক্তি নিয়ের রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের পথে রাজভবন। প্রথা মেনে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসে কয়েকজন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। যাদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাদের নামে তালিকা রাজভবনে (Raj Bhavan) পাঠাতে হয় নবান্নকে (Nabanna)। সূত্রের খবর, এবার বন্দি মুক্তির সেই তালিকা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। স্বাক্ষর না করেই না ফাইল ফেরত পাঠানো হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে- কাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের অপরাধ-সহ বিস্তারিত তথ্য।

আর ১০দিন পরেই ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য-রাজভবন দ্বৈরথে সংশোধনাগার থেকে বন্দিদের মুক্তি পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

কোন বন্দিরা মুক্তি পান?

সাধারণত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের তালিকায় রাখা হয়

কারাবাসের মেয়াদ, বন্দিদের আচরণ, তাঁদের বয়স, শারীরিক অসুস্থতা-সহ বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করেই স্বাধীনতা দিবসে বন্দি মুক্তি দেওয়া হয়।

এর ভিত্তিতেই প্রতিবছর বন্দিদের তালিকা তৈরি করে কারা দফতরের বন্দি মুক্তি কমিটি। যে আদালত সংশ্লিষ্ট বন্দিকে সাজা দিয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই নিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকা যায় রাজভবনে। সেখানেই চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ে। কিন্তু ফের রাজ্যের কাজে হস্তক্ষেপ রাজভবনের। এর আগেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় হেঁটেছেন রাজভবন। উপাচার্য নিয়োগ থেকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা সব কিছু নিয়েই নবান্নের কাজে নাক গলাচ্ছেন আনন্দ বোস। এই নিয়ে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। কিন্তু তাও রাজভবন আছে রাজভবনেই।

এবার শেষ মূহুর্তে রাজ্যপাল তালিকায় অনুমোদন দিলেও আদৌ স্বাধীনতা দিবসের আগে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সৌজন্যে এবার চিরাচরিত প্রতা মেনে স্বাধীনতা দিবসে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারবেন না রাজ্যের বন্দিরা।