প্রস্রাবকাণ্ডের পর ফের ডবল ইঞ্জিনের মধ্যপ্রদেশে(Madhya Pradesh) আদিবাসী নির্যাতন। এবার এক আদিবাসী যুবককে গুলি করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিধায়ক পুত্রের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিজেপি শাসনে মধ্যপ্রদেশে আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিয়ে। কারণ এর আগে আদিবাসী ব্যক্তির গায়ে প্রস্রাবের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল বিজেপিরই(BJP) এক বিধায়ক(MLA) ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গাড়ি নিয়ে একটি সরু রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন সিঙ্গরৌলির বিধায়ক রামলাল্লু বৈশ্যর পুত্র বিবেকানন্দ বৈশ্য। সেই সময় ওই রাস্তাতে এক দল মানুষ দাঁড়িয়েছিলেন। গাড়ি যেতে সমস্যা হওয়ায় ওই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের সঙ্গে বচসা শুরু হয় বিধায়কের পুত্রের। রাস্তায় জটলা দেখে এগিয়ে এসেছিলেন আদিবাসী যুবক সূর্যকুমার খইরওয়ার। দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি যখন চরম আকার নিয়েছে। তখন তা থামাতে উদ্যোগী হন সূর্য কুমার। অভিযোগ, সেই সময় আচমকা বন্দুক বার করে সূর্যকুমারকে লক্ষ্য করে গুলি চালান বিধায়ক-পুত্র। গুলি সূর্যের ডান হাতের তালু ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন বিবেকানন্দ। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। সিঙ্গরৌলির পুলিশ সুপার শিবকুমার বর্মা জানিয়েছেন, সূর্যকুমারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
এদিকে বিধায়ক-পুত্রের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। আদিবাসী যুবককে লক্ষ্য করে পুত্রের গুলি চালানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিধায়ক রামলাল্লু। অবশ্য এই ঘটনা প্রথমবার নয় এর আগেও এই বিবেকানন্দের বিরুদ্ধে বনরক্ষীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনাতেও পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। গ্রেফতারও হন। পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, গত মাসে আদিবাসী শ্রমিকের দশমত রাওয়তের গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ ওঠে প্রবেশ শুক্ল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি এক বিজেপি বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছিল কংগ্রেস। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয় রাজনৈতিক ডামাডোল। তখন পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নামতে হয় খোদ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে। ওই ব্যক্তিকে নিজের বাসভবনে ডেকে পা ধুইয়ে ক্ষমা চান শিবরাজ।