মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে আজ, শনিবার তৃণমূল ভবনে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন রাজ্য নেতারা। মূলত পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে এই বৈঠক ছিল বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, তৃণমূল ভবনের এই বৈঠক থেকে দলের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। বৈঠকে আলাদাভাবে হুমায়ুন কবীরকে থাকতে বলা হয়েছিল বলেই
অসমর্থিত সূত্রের দাবি। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিমরা এদিনের বৈঠক থেকে ভরতপুরের বিধায়কে জানিয়ে দেন, “কোনও আলটপকা মন্তব্য করা যাবে না”! একইসঙ্গে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে চলতে হবে, কোনও মন্তব্য করা যাবে না বলেও স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয় হুমায়ূনকে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে চলতে হবে। দলের সৃষ্টাচার মানতে হবে। স্থানীয় স্তরে কোনও সমস্যা হলে রাজ্য নেতৃত্বকে জানাতে হবে। দু’দিন হাততালি পাওয়ার জন্য সংবাদ মাধ্যমের সামনে দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে মুখ খোলা যাবে না।
হুমায়ুন কবীর বাইরে এসে জানান, বক্সীদা ও ববিদা আমাকে নেত্রীর দেওয়া নির্দেশিকার কথা বলেছেন। আমাদের সকলকেই সেই নির্দেশিকা মানতে হবে। আমিও ওই নির্দেশিকা মেনেই দল করব। যে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা বাইরে বলা যাবে না। সাংগঠনিক আলোচনাই মূলত হয়েছে। কিন্তু কোনও কিছুই প্রকাশ্যে বলার জন্য নয়।” মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওনি সিংহ রায় ও চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের বিরুদ্ধেই হুমায়ুনের মূল ক্ষোভ। তাঁদের বিষয়েও প্রশ্ন করা হলে ভরতপুরের বিধায়ক বলেন, ‘‘যা বলার দলীয় মঞ্চে বলেছি। বাইরে কিছু বলব না।’’
সূত্রের খবর, এদিন সার্বিকভাবে দুই জেলার সমস্ত নেতা কর্মীদেরও ভূমিকা নিয়েও দলের অবস্থান জানিয়ে দেওয়া হয়। সামনেই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। সেই বোর্ড গঠন নিয়ে দলকে যাতে কোনওভাবে বিব্রত হতে না হয়, তার জন্যও আগাম নির্দেশিকা বেধে দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠক থেকে। এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচনে সমস্যা হলে সব পক্ষের কথা শুনতে হবে। প্রধান কিংবা উপপ্রধান-সহ বোর্ড গঠন শান্তিতে ও নির্বিঘ্নে করতে হবে। বোর্ড গঠন নিয়ে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।