সুপ্রিম নির্দেশে রাহুলের স্বস্তিতে একদিকে যখন খুশির হাওয়া কংগ্রেস শিবিরে, অন্যদিকে তখন অস্বস্তিতে পড়ল বিজেপি(BJP)। এক যুগ পুরনো এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রামশঙ্কর কাঠেরিয়া(Ramshankar Katheria)। বিদ্যুৎ সংস্থার এক কর্মীকে শারীরিক হেনস্থায় দোষী সাব্যস্ত এই সংসদকে দু’বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন এমপি-এমএলএ আদালত। নিয়ম অনুযায়ী, দু বছরের সাজাপ্রাপ্ত এটাওয়ার এই সাংসদের খারিজ হতে চলেছে লোকসভার সদস্যপদ।
ঘটনার সূত্রপাত ১৬ নভেম্বর ২০১১। আগ্রার সাকেত মলে টরেন্ট পাওয়ার লিমিটেডের অফিসে, ম্যানেজার ভবেশ রসিক লাল শাহ বিদ্যুৎ চুরি সংক্রান্ত একটি ঘটনার নিষ্পত্তি করছিলেন। এসময় স্থানীয় সাংসদ রাম শংকর কাঠেরিয়া ও তাঁর সঙ্গে আসা ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক ভবেশের অফিসে ঢুকে রীতিমতো মারধর করে তাঁকে। এতে তিনি বেশ আহত হন। মারধরের পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয় গোটা অফিসে। এরপরই অভিযুক্ত সাংসদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঠিকমতো শুরু হয় তদন্ত। দীর্ঘ বছর পর শনিবার এই মামলায় রাম শংকরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এবং তাকে দু বছরের সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শাস্তির জেরে এবার সাংসদ পদ খোয়াতে বসেছেন রামশঙ্কর।
উল্লেখ্য, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, কোনও সাংসদ কিংবা বিধায়কের দুই বছর কিংবা তার বেশি সাজা হলে সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়। সম্প্রতি যেমনটা হয়েছিল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর। যদিও নিম্ন আদালতে দায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। একইভাবে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামশঙ্কর কাঠেরিয়ার সদস্যপদও খারিজ হতে চলেছে। এদিন রায়ের পরে এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এটাওয়ার বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘আদালত আজ আমার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। আদালতকে আমি সম্মান করি। কিন্তু আমারও এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার প্রয়োগ করব।’