মত সোমবার থেকে হিংসার আগুন জ্বলছে হরিয়ানায়(Haryana)। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের মসজিদে যেতে নিষেধ করল স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অশান্ত এই পরিস্থিতিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা যেন তাদের প্রার্থনা শুক্রবার বাড়িতেই সেরে নেন। এদিকে হিংসার ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকে নুহ একাধিক এলাকায় বুলডোজার(Bulldozer) অভিযান শুরু করল হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টর(Manohar Lal Khattar) সরকার।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক দাঙ্গায় গুরুগ্রামের একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি হত্যা করা হয়েছে সেখানকার ইমামকে। এরপর থেকে এখনো পর্যন্ত একাধিক মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতির দিকে নজর দেখেই শুক্রবার মসজিদে প্রার্থনা করতে যেতে বারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এর পাশাপাশি দু’দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর সাংবাদিক বৈঠক করে বুলডোজার অভিযানের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেন, দাঙ্গায় জড়িতদের কড়া সাজা দেওয়া হবে। ভেঙে দেওয়া হবে তাদের ঘরবাড়ি। সীমিত এদিন থেকে শুরু হলো বুলডোজার অভিযান।
দাঙ্গা বিধ্বস্ত নুহ’র পুলিশ সুপারকে বৃহস্পতিবারই সরিয়ে দেয় হরিয়ানা সরকার। নতুন পুলিশ সুপার বৃহস্পতিবার রাতে দায়িত্ব নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে বুলডোজার অভিযান শুরু করেছেন। জেলার তাউরা এবং সোনা এলাকায় বুলডোজার দিয়ে রাস্তার ধারে থাকা ঝুপড়িগুলি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।
একটি সর্ব ভারতীয় টিভি চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, তাউরা এবং সোনা মিশ্রবসত এলাকা। হিন্দু ও মুসলিম, দুই সম্প্রদায়ের মানুষেরই ওই এলাকায় বাস। টিভি চ্যানেলের খবর অনুযায়ী ঝুপড়ির বাসিন্দাদের বেশিরভাগই মূলত মুসলিম।
পুলিশ সুপারকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ঝুপড়ির বাসিন্দারা কি দাঙ্গায় যুক্ত ছিল। পুলিশ কর্তার জবাব, “সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ঝুপড়ির বাসিন্দাদের কারও নাম কি দাঙ্গার এফআইআরে আছে? পুলিশ সুপার বলেন, “সেটা আমরা খতিয়ে দেখব।” তিনি বলেন, “ঝুপড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। এখন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে।”