ISI যোগে গুজরাটে ধৃত তারকেশ্বরের যুবক। ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তবে ছেলে দোষী নয় বলেই দাবি ধৃতের পরিবারের। জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গুজরাট (Gujrat) পুলিশের ATS রাজকোট থেকে বাংলার তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে একজন হুগলি জেলার তারকেশ্বরের বাসিন্দা আমান মালিক (Aman Malik)। আমানের বাড়ি তারকেশ্বর এর গয়েশপুর এলাকায়। বাকি দুই ধৃত পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
ছেলে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বলে মানতে নারাজ আমানের বাবা সিরাজ মালিক। তিনি জানান, ২০১৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা না দিয়েই ছেলে রাজকোট চলে যায় সোনার কারিগরের কাজ করতে।কিছুদিন বাদে এই একই কাজে রাজকোট থেকে দিল্লি চলে যায়। বছরখানেক আগে আবার দিল্লি থেকে আগের কাজের জায়গায় ফিরে যায়। তবে গত একবছর ধরে বাড়িতে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন ছেলে আমান। দিল্লি ছাড়ার পর বাড়িতেও আর আসেনি। এক মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে কোনও গন্ডগোলের মধ্যে পড়ে যান আমান- অভিযোগ পরিবারের। সম্ভবত সেখান থেকেই কোনও ভাবে তাঁকে হয়তো ফাঁসানো হয়েছে। তবে ছেলে যদি সত্যি দোষী হয় তাহলে তার শাস্তি পাওয়া উচিৎ বলেই জানান আমানের বাবা সিরাজ।
এক বছরের বেশি সময় ধরে আমান সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিদেশি হ্যান্ডলার আবু তালহা এবং ফুরসানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। পরে জঙ্গি সংগঠন আইএসএ যোগ দিয়েছিলেন। তখনই তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় মুজামিল নামে এক ব্যাক্তির।এরপর এই আমান, আবদুল, সুকুর ও সইফ নওয়াজকে এই জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত করে।
এটিএস দলের অফিসাররা তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে একটি দেশী আধা স্বয়ংক্রিয় পিস্তল, ১০টি গুলি ও পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। আর সেই ফোনগুলিতে জঙ্গি কার্যকলাপ সম্পর্কিত বেশকিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয় এসটিএস দলের তরফে। এই ধৃত তিনজনকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রাজকোট আদালত।