হিং.সা থামানোর লক্ষণ নেই! মণিপুর-ভাগের ‘আজব দাবি’ তুলে বিপাকে বিজেপি বিধায়ক  

0
1

হিংসা থামানোর কোনও প্রচেষ্টাই নেই। উল্টে রাজ্যকে ভাগ করে অশান্তি আরও উসকে দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। জাতি সংঘর্ষে লাগাতার কয়েকমাস ধরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। বিরোধীরা লাগাতার পাহাড়ি রাজ্যে শান্তি ফেরানোর দাবিতে সরব হলেও সেদিকে একেবারেই নজর নেই বিজেপির (BJP)। উল্টে লাগাতার অন্য রাজ্যে যেকোনও ঘটনাকেই রাজনীতির রং লাগিয়ে ধর্মীয় উস্কানির লাগাতার চেষ্টা গেরুয়া শিবিরের। এবার জম্মু-কাশ্মীরের মতোই মণিপুরের মর্যাদা বাতিল করে তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে (Union Territories) ভাগ করার দাবি তুললেন খোদ বিজেপি বিধায়ক তথা কুকি নেতা পাওলিয়েনলাল হাওকিপ (Paolienlal Haokip)। আর বিজেপি বিধায়কের এমন মন্তব্য ভাইরাল হতেই সরব বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, বিগত কয়েকমাস কেটে গেলেও হিংসা থামানোর কোনও লক্ষণ নেই রাজ্যের দায়িত্বে থাকা বিজেপি সরকারের। উল্টে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি উত্তর পূর্বের রাজ্যকে তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার দাবি পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতাদের।

রবিবার এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষা‍ৎকারে বিজেপি বিধায়ক তথা কুকি নেতা পাওলিয়েনলাল হাওকিপ বলেন, মণিপুরে যেভাবে জাতি সংঘর্ষ ছড়িয়েছে তা থেকে খুব শীঘ্রই মুক্তি মিলবে না। মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পারিক অবিশ্বাস চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর সেকারণেই অশান্তি দূর করতে রাজ্য ভেঙ্গে তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হোক। নাগা, মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকা নিয়ে ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হলে তবেই সমস্যার সমাধান হবে।

যদিও বিজেপি বিধায়কের এমন প্রস্তাবের বিষয়টি সামনে আসার পরই বিরোধীদের অভিযোগ, মণিপুরের অনেক গ্রাম, এমনকি জেলাতেও সব ধরনের জনজাতির মানুষ বসবাস করেন। তাই আর যাই হোক এভাবে রাজ্য ভাগ করা একেবারেই সম্ভব নয়। পাশাপাশি রাজ্যভাগের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।