রাজ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির একটি চক্র চলছে বলে একটি অনুষ্ঠান থেকে মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।তাঁর অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের ওপর নতুন লেবেল সেঁটে তা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা চলছে বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। এই নিয়ে তাঁর দফতরে একটি ইমেলও এসেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এই অভিযোগ নিয়ে যে তদন্ত হবে, সেই আশ্বাসও দিয়েছেন রাজ্যপাল।
শুক্রবার তিনি বলেন, ‘রাজভবনে আমার দফতরে একটি ইমেল এসেছে। সেই ইমেলে অভিযোগ করা হয়েছে যে রাজ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির একটি চক্র চলছে। আপনাদের আশেপাশে এই চক্র সক্রিয় রয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধে নতুন লেবেল লাগিয়ে তা বিক্রির জন্য কলকাতা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। নতুন ওষুধ হিসেবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। এই ব্যবসায় নিরীহ মানুষের জীবনহানির সম্ভাবনা রয়েছে। আমি আশ্বাস দিচ্ছি এই অভিযোগের তদন্ত হবে। এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের ফাঁসি দেওয়া উচিত।’
ওয়াকিবহাল মহলের মত, রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও জাল ওষুধ বিক্রির একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। পুলিশ ও ড্রাগ কন্ট্রোলের অভিযানে ধরপাকড় চললেও এখনও তা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। রাজ্যপালের এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে জাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যপাল কী ভাবে তদন্ত করবেন আমি জানি না। উনি কোনও অভিযোগ পেয়ে থাকলে সরকারের কাছে তা রেফার করা উচিত। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর লাইসেন্স দিলেও ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে না। তবে আমাদের দফতরও নজরদারি চালায়। মেয়াদ উত্তীর্ণ ও জাল ওষুধের ব্যবসা করলে সেটা বড় ধরনের অপরাধ। এই বিষয় নিয়ে কোনও অভিযোগ পেলে নিশ্চই পুলিশ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।’
সম্প্রতি কলকাতা থেকে কোটি কোটি টাকার নকল উদ্ধার করে ড্রাগ কন্ট্রোল ও কলকাতা পুলিশ। কলুতলা স্ট্রিটের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির একতলায় বিপুল পরিমাণ জাল ওষুধ মজুত করা ছিল। এই ঘটনায় অসীম সাধু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।








































































































































