রাজ্যে কনজাংটিভাইটিস সংক্রমণের গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী। কিছুদিন আগেও যেভাবে মানুষ কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছিলেন গত দু-এক দিনে সেই সংখ্যাটা তুলনায় কিছুটা কম। শুক্রবার এমনটাই জানালেন বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বর্ষার মরশুমে কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ এমনিতেই বাড়ে। এবার কনজাংটিভাইটিসের সঙ্গে জ্বর, সর্দিকাশি ও গলাব্যথাও হচ্ছে অনেকের। মূলত এটি অ্যাডিনো ভাইরাসের একটি স্ট্রেন বা প্রজাতির আক্রমণের জেরেই হচ্ছে। শিশুদের বেশি সংক্রমণ হচ্ছে। বড়রাও সংক্রমণের হাত থেকে বাদ যাচ্ছেন না। তবে অধিকাংশ জনই ৪-৫ দিনে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে পরিবারের সবাই কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সংক্রমণ অত্যন্ত ছোঁয়াচে। তবে আক্রান্ত রোগীর চোখের দিকে তাকালে এই রোগ ছড়ায় না। মূলত স্পর্শ থেকে এই রোগ ছড়ায়।
ক’দিন আগেও যে-হারে মানুষ কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছিলেন দু-একদিনে সেই সংখ্যাটা একটু হলেও কমেছে। যেকোনও ভাইরাস সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গেলে তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। আমরা সবাই সচেতন ও সাবধান থাকলে আগামী কিছুদিনের মধ্যে সংক্রমণ অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, দেশের একাধিক রাজ্যের মানুষ কনজাংটিভাইটিসের সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন। দিল্লিতে ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে চোখের এই সংক্রমণ।
আরও পড়ুন- অর্থাভাবে হয়নি চিকিৎসা, শেষমেশ মা.নসিক ভারসাম্যহীন ছেলের পায়ে শি.কল পরালো মা