দু’মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। থামার কোনও লক্ষণ নেই।
মণিপুর জ্বলছেই! জাতিদাঙ্গার আগুনে ফের জ্বলল বাড়ি।
গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। একদল বিক্ষোভকারী মোরে জেলায় অন্তত ৩০টি বাড়ি ও বেশ কিছু দোকান জ্বালিয়ে দিয়েছে বলে খবর। মায়ানমার সীমান্তের কাছে মোরে বাজারের কাছে এই সব পরিত্যক্ত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি।
সম্প্রতি, কাঙ্গপোকাপি জেলায় দু’টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। বাস দু’টিতে নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন। দু’টি বাস ডিমাপুর থেকে নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়ে আসছিল। সাপোরমেনার কাছে বাস দু’টিকে আটকে তল্লাশি শুরু করে একদল স্থানীয় বাসিন্দা। অন্য সম্প্রদায়ের কোনও মানুষ বাসে রয়েছে কি না দেখছিল তারা। এই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী বাস দু’টিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এদিকে, মণিপুরে নারী নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। ঘটনা প্রসঙ্গে “বিস্মিত” ও “আতঙ্কিত” শব্দ দু’টি ব্যবহার করেছে বাইডেন প্রশাসন। অমেরিকার বিদেশ দফটরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “মণিপুরে দুই মহিলার উপর হামলার ছবি দেখে আমরা হতবাক ও আতঙ্কিত। ওঁদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই। নির্যাতিতাদের ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানাই।”