গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ছিল যমুনার জলস্তর। চলছিল বৃষ্টিও। বুধবার ভারী বৃষ্টির জেরে রাজধানীর বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার ফের নতুন করে রাজধানীতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল মৌসম ভবন। জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতাও। আগামী কয়েকদিন রাজধানীতে মাঝারি বৃষ্টি চলবে বলে জানানো হয়েছে। এর জেরে নতুন করে বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দিল্লিতে।
আরও পড়ুনঃউত্তরের পর এবার দক্ষিণবঙ্গেও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
বুধবার যমুনার জলস্তর আবার বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে নিচু জায়গাগুলিতে জারি হয়েছে সতর্কতা। উত্তরপ্রদেশের নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডারও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যমুনা এবং হিন্দন নদী বিপদসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ৩১ হাজার বাসিন্দাকে ইতিমধ্যেই অন্যত্র সরানো হয়েছে। ১৬০০ হেক্টর জমি জলের নীচে চলে গিয়েছে।
রাজধানী ছাড়াও মহারাষ্ট্রতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। মুম্বই, রায়গড়, রত্নগিরি এবং সিন্ধুদুর্গের বহু এলাকা ইতিমধ্যেই জলমগ্ন। ভারী বৃষ্টির জেরে মুম্বইয়ে স্কুল, কলেজগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। রাতভর বৃষ্টিতে নাগপুরেরও বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টিতে বিপর্যস্তা উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশও।একটানা বৃষ্টির সঙ্গে চলছে ভূমিধস। দেরাদুন সহ উত্তরাখণ্ডের একাধিক জেলায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ধসের জেরে হৃষিকেশ যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক-সহ উত্তরাখণ্ডের ২৪১টি সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেগুলি পরিষ্কারের কাজ চলছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ২০০টি জেসিবিকে কাজে লাগানো হয়েছে। তুনি-টিহরী ৭০৭এ জাতীয় সড়ক এবং হৃষিকেশ বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কও ধসের কারণে বন্ধ।
হিমাচল প্রদেশের শিমলা, সোলান, মান্ডি, সিরমুর, বিলাসপুর, কাংড়া, চম্বা, হামিরপুর এবং উনা জেলাতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.