সুপ্রিমে স্বস্তি সঞ্জয়ের! কেন্দ্রের আর্জি মেনে ফের বাড়ল ইডি প্রধানের মেয়াদ

0
1

স্বস্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (Enforcement Directorate) প্রধান সঞ্জয়কুমার মিশ্র (Sanjay Kumar Mishra)। আগামী সোমবার অর্থাৎ ৩১ জুলাই, সোমবার তাঁর কার্যকাল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তিনি আরও কিছুদিন পুরনো পদেই বহাল থাকবেন। বৃহস্পতিবার সঞ্জয়ের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Sipreme Court of India)। সঞ্জয়কুমার মিশ্রের মেয়াদবৃদ্ধির আর্জি জানিয়ে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই আবেদন জানানো হয়। যদিও কেন্দ্রের আর্জি ছিল আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইডি প্রধানের মেয়াদ বাড়ানো হোক। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের সেই আবেদন মেনে নিলেও ইডি প্রধানের মেয়াদ কমল। আর সুপ্রিম নির্দেশে মুখে চওড়া হাসি কেন্দ্রের মোদি সরকারের (Modi Govt)। তবে ইডি প্রধানের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের অতি বাড়াবাড়িকে ভালো চোখে দেখতে নারাজ বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, লোকসভার আগেই নিজেদের ‘দুর্বলতা’ ঢাকতেই কী এমন পদক্ষেপ কেন্দ্রের মোদি সরকারের? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রথমবার ইডি অধিকর্তার দায়িত্ব পান মিশ্র। প্রাথমিকভাবে তাঁকে দু’বছরের জন্য ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২০ সালে নভেম্বরে সেই মেয়াদ শেষ হয়। ওই বছরেরই মে মাসে তাঁর ৬০ বছর পেরিয়ে যায়। তখনই তাঁর অবসরের বয়স হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেইসময় ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর কেন্দ্র তাঁর মেয়াদ দুই থেকে বাড়িয়ে তিন বছর করে। সেই সময়ই কেন্দ্রের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যদিও সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের নির্দেশকে বাতিল না করলেও সাফ জানিয়েছিল আর বাড়ানো যাবে না ইডি প্রধানের মেয়াদ। কিন্তু সেই রায়ের পরও কেন্দ্র ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ফের মিশ্রর মেয়াদ বাড়ায়। আর সেই নির্দেশেই স্থগিতাদেশ জারি করে তাকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

বুধবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়়ে ৩টে নাগাদ সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের আর্জি শুনবে। আর সেই মতোই এদিন কেন্দ্রের দাবি মেনে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইডির ডিরেক্টর পদে সঞ্জয়ের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল দেশের শীর্ষ আদালত।