রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গির এই বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্নও। বেসরকারি মতে, আক্রান্তের সংখ্যা জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবারই নবান্নে হবে অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠক। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বেই বৈঠক হবে। থাকবেন স্বাস্থ্য অধিকর্তারা এবং জেলাশাসকরা। কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। দফায় দফায় হচ্ছে বৈঠক,নজর রাখছে পুরসভাগুলিও। এবার কড়া চিন্তাভাবনা প্রশাসনেরও। বৃহস্পতিবার বিকালে ডেঙ্গি নিয়ে নবান্নে মুখ্যসচিব-স্বাস্থ্যসচিব বৈঠকে বসবেন।
জনস্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এ বছর শহর থেকেও আক্রান্তের সংখ্যা বেশি গ্রাম বাংলায়। বিষয়টিকে মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৬০০ অতিক্রম করেছে।গড়ে মোট আক্রান্তের ৬৫ শতাংশই গ্রাম বাংলার।
গত ২১ জুলাই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এক ডেঙ্গি আক্রান্ত মহিলার মৃত্যু হয়। রানাঘাটের বাসিন্দা ওই মহিলার নাম উমা সরকার। ১৯ জুলাই বিসি রায় হাসপাতালে এক শিশুর মৃত্যু হয়। ইন্সস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থে মৃত্যু হয় এক শিশুর। গত শনিবার, মৃত্যু হয় পল্লবী দে নামে আরও এক নাবালিকার। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ২ দিনের মধ্যে জ্বর না কমলে টেস্ট করানোর নির্দেশ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। তবে তিনি বারবার জানিয়েছেন, রাজ্য ডেঙ্গি মোকাবিলায় সদা সতর্ক।
জনস্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, তথ্য গোপন না করে, আসল তথ্য সামনে এলে মানুষকে সচেতন করতে হবে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হচ্ছে স্পেশ্যাল ইউনিট। কোথাও কোথাও মেডিসিন, পেডিয়াট্রিক, মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হচ্ছে গোটা বিষয়টি।