দু’মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও অগ্নিগর্ভ মণিপুর। জাতিদাঙ্গায় বিধ্বস্ত মণিপুরে খুন-ধর্ষণ-রাহাজানি, কিছুই বাদ নেই। সেই ভয়ঙ্কর আবহে বিজেপি শাসিত ডাবল ইঞ্জিন মণিপুরে ফের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে উঠল মারাত্মক অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলার চুলের মুঠি ধরে শ্লীলতাহানির মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠল। ইম্ফলের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সতীশ প্রসাদ নামের অভিযুক্ত জওয়ানকে নির্বাসিত করেছে বিএসএফ।
আরও পড়ুনঃপ্রসঙ্গ মণিপুর: মনস্তাত্ত্বিক চাল দিতেই সংসদে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছে “INDIA”
প্রসঙ্গত, মণিপুরে বিতর্কিত আফস্পা আইন (Armed Forces Special Powers Act) চালু থাকার সময় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটির মহিলাদের নির্বিচারে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছিল। মনোরমা থাঙ্গিয়ামকে খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে ২০০৪-এর ১৫ জুলাই মণিপুরে অসম রাইফেলসের সদর দফতরের গেটে নগ্ন শরীরে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ১২ মহিলা। তাঁদের সামনে সাদা কাপড়ের উপর লালকালিতে লেখা ছিল ‘ইন্ডিয়ান আর্মি রেপ আস।’ সেই প্রতিবাদ নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। সেই ঘটনার ২০ বছর পর জাতিদাঙ্গায় ফের বিধ্বস্ত মণিপুর। উত্তাল সেই রাজ্যে দুই মহিলাকে গণধর্ষণ, বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছিল নেটমাধ্যমে, যা নিয়ে বর্তমানে উত্তাল সারা দেশ। তার মধ্যেই এক মহিলাকে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি করতে দেখা গেছে এক বিএসএফ জওয়ানকে। সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে ফের, যা দেখে স্তম্ভিত নেটিজেনরা।
জানা গিয়েছে, ঘটনা ২০ জুলাইয়ের। অভিযুক্ত বিএএসএফ কর্মী সতীশ প্রসাদ উর্দি পরে ইনসাস রাইফেল কাঁধে এক মহিলাকে অশালীনভাবে স্পর্শ করছে, মহিলাকে শ্লীলতাহানি করতে দেখা যায়। সেই ভিডিও দাবানলের মতো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে বিএসএফ-এর শীর্ষ আধিকারিকরা।
তাঁরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই জওয়াণের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ইতমধ্যেই মণিপুর পুলিশ দাবি করেছে, যৌন নির্যাতনের ঘটনার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি জিরো টলারেন্স এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি। কারণ নির্যাতিতারা এখনও তদন্তে সহায়তা করেননি।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.