শেষরক্ষা হল না! দীর্ঘ ল.ড়াইয়ের পর অবশেষে ম.র্মান্তিক পরিণতি কোচবিহারের নি.র্যাতিতার

0
3

স্কুল (School) থেকে ফিরছিল সে। সেইসময় আচমকাই নবম শ্রেণির ছাত্রীকে কয়েকজন যুবক তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তারপর চলে লাগাতার যৌন নির্যাতন (Physical Assault)। আর সেই নির্যাতনের কারণেই কোমায় চলে গিয়েছিল কোচবিহারের (Coochbehar) নাবালিকা। তবে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বুধবার সকালে শেষ হল তার জীবনযুদ্ধ। এমজেএন হাসপাতালে (MJN Hospital) মৃত্যু হল ১৪ বছরের কিশোরীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া কোচবিহারে। এদিকে অভিযুক্তদের দ্রুত কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব নির্যাতিতার পরিবার।

তবে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত বাপ্পা বর্মন-সহ আরও চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা হলেন সত্য সরকার, মৃণাল সরকার, সুমন সরকার ও সুশান্ত দাস। অভিযুক্ত বাপ্পা বর্মন নির্যাতিতার গ্রামেরই বাসিন্দা। নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ জুলাই ওই নাবালিকা স্কুলে গিয়েছিল। আচমকা অসুস্থ বোধ করায় তৃতীয় ক্লাসের পর সে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। অভিযোগ, সেই সময়ই কয়েকজন যুবক তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে সন্ধে হয়ে গেলেও ওই নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপর গত ২০ জুলাই পুণ্ডিবাড়ি থানায় মিসিং ডায়েরি দায়ের করেন পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের দাবি, অবশেষে তাঁরা জানতে পারেন কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ওই নাবালিকা।

পরে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা তাঁদের প্রতিবেশী। পরে ২১ জুলাই পরিবারের সদস্যরা কিশোরীর খোঁজ পায়। এক বেসরকারি নার্সিংহোমে অচৈতন্য অবস্থায় ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা জানান, মাথায় অক্সিজেন কম যাওয়ায় কোমায় চলে গিয়েছে ওই নাবালিকা। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই বুধবার সকালে মৃত্যু হয় নাবালিকার।