একুশের বিধানসভা ভোটের মতোই তেইশে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। এমনকী, নিজেদের স্বঘোষিত গড়েও মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। যার দায় রাজ্য নেতৃত্ব এড়াতে পারে না। গঠনমূলক কোনও সমালোচনা নেই, নেই উন্নয়নের কথা, সুকান্ত মজুমদার-শুভেন্দু অধিকারীরা শুধুমাত্র বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করেন। বিজেপি নেতাদের সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমতে যাওয়া পর্যন্ত তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা, মিথ্যাচার ধরে ফেলেছে মানুষ। পঞ্চায়েতে ব্যালট বক্সেই তার জবাব পেয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন:স্বঘোষিত গড়ে পঞ্চায়েতে হেরে অ.শান্তি পাকানোর ছক বিজেপির
তাই নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে প্রথমে সন্ত্রাস তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। কিন্তু সন্ত্রাস তত্ত্বে চিঁড়ে ভেজেনি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপর্যয়ের দায় ঝেড়ে ফেলতে নয়া তত্ত্ব খাড়া করল বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। মণ্ডল সভাপতিদের “গদ্দার” সাজিয়ে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের মাথাদের মূল্যায়ন, তৃণমূলের সঙ্গে আড়ালে নিচুতলার একাংশের যোগসাজশের জেরেই ভরাডুবি। শুধুমাত্র দায় চাপানো নয়, এই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে মণ্ডল সভাপতিদের ছেঁটে ফেলার কাজও তাঁরা শুরু করে দিয়েছেন পুরোদমে।
সুকান্ত-শুভেন্দুরা নিজেদের চেয়ার বাঁচাতে এতটাই মরিয়া যে, কোপ পড়ছে তাঁদের উপরেই। সিদ্ধান্ত হয়েছে ৬০ শতাংশের বেশি মণ্ডলের শীর্ষ নেতাকে সরিয়ে বর্ধিত জেলা কমিটি গড়ে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের এহেন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ দলের একাংশ। এ প্রসঙ্গে দলের এক নেতা বলেন, “বারের পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের অজুহাতকে পাত্তা দেয়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অগত্যা নিরুপায় হয়ে রাজ্য ইউনিটের ক্ষমতাশীল গোষ্ঠীকে বিকল্প যুক্তি খাড়া করতে হচ্ছে। সেই সূত্রেই মণ্ডল সভাপতিরা সফ্ট টার্গেট।”
জানা গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপিতে এই মুহূর্তে ১৩০৭টি মণ্ডল রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০০ মণ্ডল সভাপতি বদল করতে হবে ১ আগস্টের মধ্যে। ইতিমধ্যে ৩৯০ জন মণ্ডল সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.