মণিপুরের হিং.সার ঘটনায় দায়ী রাজ্য প্রশাসন! এ বার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব বিজেপি বিধায়কও

0
1

মণিপুরের ন্যাক্কারজনক ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ।কলম ধরেছেন বুদ্ধিজীবীরা। গোটা দেশ মণিপুর হিংসায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মৌনতার প্রশ্ন সরব।রাজ্যের বিজেপি প্রশাসনকেই দুষছে সকলে। এমনকী মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-এর ইস্তফার দাবিও জানিয়েছেন। মণিপুরে বিজেপি সরকারের টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই বীরেন সিং এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিজেপি বিধায়কও। একটি সংবাদমাধ্যমে চূড়াচাঁদপুর জেলার সাইকত কেন্দ্রের বিধায়ক পাওলিয়েনলাল হাওকিপ সাফ লেখেন, মণিপুরে চলা জাতিহিংসায় কোনও বিরোধী নেতানেত্রী নন, দায়ী রাজ্য সরকারই।

আরও পড়ুন:আত.ঙ্কের মণিপুরে এবার স্বাধীনতা সংগ্রামীর বৃদ্ধা স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়ি.য়ে হ.ত্যা

হাওকিপ লেখেন, “সরকার যে বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ এই যে, জাতিগত এবং সম্প্রদায়গত হিংসা দিয়ে যে ঘটনার সূত্রপাত, সেই ঘটনাকে মাদক চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের যুদ্ধ বলে ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।” চাইলে এই হিংসা এড়ানো যেত বলেও দাবি করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন এবং তাঁর পরিচালিত সরকারকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে কটাক্ষ করে হাওকিপ লেখেন, “একটি পক্ষপাতদুষ্ট সরকার যে কোনও জায়গাতেই শান্তিপ্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রধান অন্তরায়।”


বহু দিন ধরেই বীরেনকে সরিয়ে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তুলছে বিরোধী দলগুলি। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা জানালেন দলেরই বিধায়ক।হাওকিপ জানান, যুযুধান দুই জাতিগোষ্ঠী কুকি এবং মেইতেইদের মধ্যে আস্থার পরিবেশ ফেরাতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তিনি লেখেন, “নানাবিধ বৈষম্য থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন কুকি জনগোষ্ঠীর মানুষ। মেইতেই যোদ্ধারা ভেবে নিলেন কুকিরা বুঝি উপত্যকায় তাঁদের এলাকা দখল করতে চাইছে।”