প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসা পাকিস্তানি(Pakistani) সীমা হায়দারকে(Seema Haider) ঘিরে রহস্য ক্রমশ বাড়ছে। সীমা পাকিস্তানের গুপ্তচর নাকি সাধারণ গৃহবধূ এ বিষয়ে খোঁজ নিতে ইতিমধ্যেই তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। তথ্য অনুসন্ধানে এবার সীমা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পাঠানো হলো দিল্লির(Delhi) পাকিস্তানি দূতাবাসে(Pakistani Embassy)। এর পাশাপাশি সীমা ও তার ভারতীয় স্বামী শচীনের আধার কার্ড সহ অন্যান্য নথি বদলানোর অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh) পুলিশ।
পাবজি খেলার সূত্র ধরে নয়ডার শচীনের প্রেমে পড়ে চার সন্তান সহ ভারতে আসেন পাক যুবতী সীমা। অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার অভিযোগে গত চার জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে শচীনকে বিয়ে করে সংসার পাতে সে। এদিকে সীমা পাক গুপ্তচর কিনা জানতে তদন্ত শুরু করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে এসেছে সীমার পাসপোর্ট, পাকিস্তানি আইডি কার্ড, তার চার সন্তানদের পাসপোর্ট সহ একাধিক নথি। সেই সমস্ত নথি যাচাই করতে এবার তা পাঠানো হলো ভারতে অবস্থিত পাক দূতাবাসে। এছাড়াও সীমার মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে কোন সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট এবং সীমার পরিচয় যাচাই হলে তার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ চার্জশিট পেশ করবে পুলিশ।
অন্যদিকে সীমা ও শচীনের আধার কার্ড সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি বদলানোর অভিযোগে, শচীনের দুই তুতু ভাইকে আটক করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। অভিযুক্ত দুই যুবককে বুলন্দশহরের আহমদগড়ের একটি জনসেবা কেন্দ্র থেকে আটক করেছে এটিএস। অভিযুক্ত পুষ্পেন্দ্র মিনা এবং পবন মিনা ওই জনসেবা কেন্দ্রে কর্মী। পুলিশ সূত্রে খবর, পুষ্পেন্দ্র এবং পবন সম্পর্কে দাদা-ভাই।