মণিপুরের ২ মহিলাকে বি.বস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় ষষ্ঠ অভিযুক্ত গ্রে.ফতার

0
2

মণিপুরে দুই কুকি মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণের ঘটনায় ষষ্ঠ অভিযুক্ত গ্রেফতার। ধৃত নাবালক বলে জানা গিয়েছে। দু’মাস পর গত বুধবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অগ্নিগর্ভ মণিপুর নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই টনক নড়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যের প্রশাসনের। গত বুধবারই গ্রেফতার করা হয় প্রথম অভিযুক্তকে। এরপর একে একে শুরু হয়েছে গ্রেফতারি।

আরও পড়ুনঃডবল ইঞ্জিন মণিপুরের ব্যর্থতা ঢাকতে বাংলা নিয়ে মিথ্যাচার: বিজেপিকে তোপ সায়নীর

গত ৩ মে ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয় মণিপুরে। সে দিন রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত কুকিদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দু’সম্প্রদায়েরই বহু মহিলা নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, থৌবল জেলায় দুই কুকি মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানো হয় এবং অভিযোগ ওঠে গণধর্ষণেরও। সেই ঘটনার দু’মাস পর, গত বুধবার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। তাতে ওই ঘটনা স্পষ্ট দেখা যায়। প্রশ্ন ওঠে হিংসা থামাতে প্রশাসনের ইচ্ছে নিয়ে। ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে না আসা পর্যন্ত বিজেপি শাসিত মণিপুর পুলিশের পাশাপাশি একটিও কথা বলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। বিরোধীরা সরাসরি আক্রমণ করে মণিপুরের ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের অন্যতম কেন্দ্রের মোদি সরকারকে।সংসদের বাদল অধিবেশনের শুরু দিন এ নিয়ে প্রথম মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক।