দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে তলানিতে। আর সেই বিপদে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল ভারত (India)। এবার সেই বিপদের বন্ধুকে অসময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারতকে বন্ধুত্বের প্রতিদান ফিরিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। গত সপ্তাহেই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে (Ranil wickremesinghe) ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভারতীয় মুদ্রা (Indian Currency) ব্যবহারে তাদের কোনও আপত্তি নেই। বিক্রমসিঙ্ঘের কথায় ভবিষ্যতে অভিন্ন মুদ্রা হিসাবে ভারতীয় টাকা ব্যবহারের সম্ভাবনা আমরা কোনওমতেই খারিজ করে দিচ্ছি না। ২০২২ সালে অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। এরপরই গণরোষের মুখে পড়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে এবং প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। এরপরই জরুরি ভিত্তিতে পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বিক্রমসিঙ্ঘে।
শ্রীলঙ্কার বিপদের দিনে ৩২ হাজার কোটি টাকা অর্থসাহায্য করেছিল ভারত। টাকা শোধ করার ক্ষেত্রেও শ্রীলঙ্কার ওপর চাপ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বন্ধু দেশের তরফে। বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই তাঁর ভারতে আসার কথা। দ্বীপরাষ্ট্রটিতে অর্থনীতি সংকট রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এক বছর আগে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এটি হবে তার প্রথম ভারত সফর। সম্প্রতি ভারতীয় মুদ্রাকে মার্কিন ডলারের মতো সাধারণ মুদ্রা হিসেবে গ্রহণ করতে আপত্তি নেই শ্রীলঙ্কার। নয়াদিল্লিতে প্রথম সরকারি সফরের প্রাক্কালেই এ’কথা জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে।
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, পূর্ব এশিয়ায় জাপান, কোরিয়া এবং চিনের মতো দেশগুলি যেমন ৭৫ বছর আগে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সাক্ষী ছিল, এখন ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের পালা। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় রুপি শ্রীলঙ্কায় সাধারণ মুদ্রায় পরিণত হলে এটি আমাদের জন্য কোনও সমস্যা সৃষ্টি করবে না। এ বিষয়ে কীভাবে এগোনো যায়, সেই উপায় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের অবশ্যই বাইরের বিশ্বের জন্য আরও উন্মুক্ত হতে হবে।