ধর্ষণ এবং খুন-সহ নানা অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে জেলবন্দি ধর্মগুরু রামরহিমকে আবারও ৩০ দিনের প্যারোলে মুক্তি দিল হরিয়ানা প্রশাসন। আড়াই বছরে এই নিয়ে ৭ বার প্যারোলে মুক্তি পেলেন রামরহিম! ইতিমধ্যেই তাঁর বার বার মুক্তি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।ভোটে রামরহিমকে কাজে লাগাতেই বিজেপি সরকার এই ব্যবস্থা করেছে বলে বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে উঠেছে নিন্দার ঝড়।

আরও পড়ুনঃমুক্তি পেয়ে তলোয়ারে কেক কেটে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ‘সেলিব্রেশন’ রামরহিমের

রামরহিমকে ঘনঘন মুক্তি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং মানবাধিকার সংগঠন। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৪০ দিনের প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। তখন মুক্তি পেয়েই পাঞ্জাবের সলাবাতপুরায় এক ভক্ত সমাবেশ অনলাইনে বক্তব্য রাখেন স্বঘোষিত এই ‘বাবা’। তখনও রামরহিমের মুক্তি পাওয়া নিয়ে শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি প্রশ্ন তোলে যে, রামরহিম ছাড়া পেলে কেন জেলবন্দি অন্য শিখদের মুক্তি দেওয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, নিজের আশ্রমে দুই মহিলাকে ধর্ষণ এবং আশ্রমের ম্যানেজারকে খুন করার অভিযোগে কুড়ি বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন রামরহিম। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে প্রান্তিক এবং অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মধ্যে রামরহিমের একটা বড় প্রভাব রয়েছে। এই তিনটি রাজ্যের ভোটেও প্রভাব ফেলেন তাঁর ভক্তরা। তাই লোকসভা ভোট আসতেই ‘স্বঘোষিত’ বাবাকে মুক্ত করছে মোদির বিজেপি সরকার বলে দাবি বিরোধীদের।রাজনৈতিক কারণেই তাঁকে বার বার প্যারোলে মুক্তি দিয়ে মানুষকে প্রভাবিত করা হচ্ছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।















































































































































