শচীনের সঙ্গে নেপালের হোটেলে রাত্রিবাস পাকিস্তানি সীমার! চাঞ্চ.ল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে

0
1

ভারতীয় যুবকের ভালোবাসার টানে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানি যুবতীর (Pakistani Women) সঙ্গে আইএসআইয়ের (ISI) যোগসাজশ থাকতে পারে। এমনটাই সন্দেহ করছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এটিএস (ATS) আধিকারিকরা। এমন আবহেই কাঠমান্ডুর (Kathmandu) এক হোটেলের মালিকের দাবি, সীমা হায়দার ও শচীন মীনা সেখানে বেশ কয়েকদিন ছিলেন। হোটেল মালিক গণেশ আরও দাবি করেন, মার্চ মাসে তাঁর হোটেলে এসেছিলেন সীমা এবং শচীন। হোটেল ভাড়া করার সময় শচীন নিজের নাম ‘শিবাংশ’ বলে জানিয়েছিলেন। তাঁরা ৭-৮ দিন হোটেলের ২০৪ নম্বর ঘরে ছিলেন। তবে বেশিরভাগ সময় তাঁরা হোটেলের ঘরেই থাকতেন। মাঝেমধ্যে সন্ধের দিকে বাইরে গিয়ে আবার রাত ১০টার মধ্যে হোটেল ঢুকে যেতেন কারণ তাঁদের হোটেল ১০টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।

তবে শচীন ওই হোটেলে আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন এবং হোটেল কর্মীদের জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী সীমা পরের দিন আসবেন। আর সেই মতোই সীমা পরের দিন হোটেলে আসেন। তবে তিনি একাই হোটেলে এসেছিলেন। এমনকি তাঁরা ভারতীয় টাকা ব্যবহার করে হোটেলের ভাড়া মিটিয়েছিল। গণেশের আরও দাবি, হোটেলে প্রায় এক সপ্তাহ থাকার পর সীমা এবং শচীন আলাদা আলাদা ভাবে হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। ইতিমধ্যে, সীমা ও শচীনকে নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে এটিএস। তাঁকে জেরা করেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে বলে এটিএস সূত্রে খবর। তবে পাক যুবতীর দাবি ছিল, নয়ডার বাসিন্দা শচীনের প্রেমে পড়েই তিনি ভারতে এসেছেন। তবে নেপাল ঘুরে অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন সীমা। চার সন্তানকে নিয়ে শচীনের বাড়িতেই সংসার শুরু করেন তাঁরা। তবে সীমার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পাক যুবতীর উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়ছে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে বেজায় চাপে কেন্দ্র। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী (Arindam Bagchi) বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। উনি আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন এবং জামিনে মুক্তিও পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। নতুন কোনও তথ্য পেলে আমরা আপনাদের জানাব।