ফের সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরির চেষ্টা রাজভবনের। সোমবার, ২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু করতে চেয়ে রাজভবনে ফাইল পাঠিয়েছিল পরিষদীয় দফতর। সেই ফাইলে রাজ্যপাল অনুমোদন দিলেই সোমবার থেকে শুরু হতে পারত বিধানসভার বাদল অধিবেশন। সেই মর্মে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল বিধানসভায়। কিন্তু রাজভবন প্রশ্ন তোলে, কেন এত কম সময়ের নোটিশে বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হচ্ছে? শুধু প্রশ্ন তোলাই নয়, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বুধবার রাজভবনে তলবও করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
তিনি শহরে না থাকায় তাঁর পরিবর্তে পরিষদীয় দফতরের কোনও আধিকারিককে রাজভবন পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু রাজভবন পাল্টা জানিয়ে দেয়, অন্য কোনও আধিকারিক নয়, মন্ত্রী নিজে না আসতে পারলে আসতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। যদিও, বুধবার রাত পর্যন্ত রাজভবনে যাননি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
এর জেরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের স্থানই বদল হয়ে গেল!সোমবার থেকে বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে ধরে নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ২৪ জুলাই, সোমবার বিধানসভা ভবনেই বসবে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। মন্ত্রীরা প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকায় পঞ্চায়েত ভোটের কারণে গত এক মাস মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়নি। তাই সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক আবার শুরু হবে বলে জানানো হয়।
কিন্তু সেই বৈঠক বিধানসভায় নয়, নবান্নেই হবে বলে জানানো হয়েছে।গত ১৭ জুলাই নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করে। জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয় ২৪ জুলাই এর মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে বিধানসভায়। দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই সিদ্ধান্ত বদল করল রাজ্য।