ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষীদের স্বার্থে এবং খাদ্য সাথী প্রকল্পে উন্নত মানের চালের সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখতে রাজ্য সরকার ধানের সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসন্ন খরিফ মরশুমের চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২০৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১৮৩ টাকার করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্রে ধান বিক্রি করলে কৃষকেরা অতিরিক্ত ২০ টাকা উৎসাহ ভাতা পাবেন। এর পাশাপাশি চলতি মরশুমে কৃষকদের ধান বিক্রির ঊর্ধ্বসীমাও বাড়ানো হয়েছে। মাথাপিছু ৪৫ কুইন্টাল থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯০ কুইন্টাল। উল্লেখ্য চলতি মরশুমে রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ৫৫ লক্ষ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। যার মধ্যে ৫০ লক্ষ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।
ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে একাধিক নতুন প্রযুক্তির সংযোজন ঘটছে এই ক্রয় পদ্ধতিতে। এ বার চাষিদের আধার কার্ড বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কিন্তু ধান সংগ্রহের গতি বাড়াতে আপাতত ‘বায়োমেট্রিক স্ক্যানিং’ ব্যবস্থাকেই স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এছাড়াও গ্রামে গ্রামে ধান কেনার জন্য শিবির করার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য দফতর। স্বনির্ভর গোষ্ঠী, প্রাইমারি এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ সোসাইটিগুলিকে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ শিবির করতে হবে। একটি গ্রামে সাত দিনের বদলে প্রয়োজনে দশ দিন করে শিবির করতে হবে। তবে, দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল প্রকৃত কৃষকের বদলে দালালরা সরকারি দামে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করত। সেই কারণেই বায়োমেট্রিক স্ক্যানিং ব্যবস্থা আনা হয়। এখন বায়োমেট্রিক স্ক্যানিং বন্ধ রেখে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই দালাল চক্রের রমরমা আবার ফিরে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ধান কেনাবেচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে খাদ্য দফতরের বিশেষ নজরদারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকেই যাতে ধান কেনা হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে খাদ্য দফতরের তরফে।
আরও পড়ুন- আগামিকাল থেকে শুরু রাজ্য জয়েন্টের কাউন্সেলিং








































































































































