না, পরপর পাঁচবার হলো না। রবিবার উইম্বলডন ফাইনালে তরুণ কার্লোস আলকারাজের কাছে হেরে পরপর পাঁচবার উইম্বলডন জয় হলো না নোভাক জোকোভিচের। এমনকি ছোঁয়া হল না রজার ফেডেরারের আট উইম্বলডনের নজির। যেই কোর্টে রাজা জোকার, রবিবার সেই কোর্টেই যেন কেমন বেমানান লাগল ২৩টি গ্র্যান্ডস্ল্যামের মালিককে। ম্যাচ শেষে যেন হতাশাই ঝড়ে পরল জোকোভিচের গলায়। তবে প্রতিপক্ষের প্রশংসা করতে পিছ পা হলেন না।

ম্যাচ শেষ জোকার বলেন,” ভেবেছিলাম এতদিন সুরকির কোর্ট বা কখনও কখনও হার্ড কোর্টে তোমার বিরুদ্ধে খেলতে সমস্যা হবে। এখন তো দেখছি ঘাসের কোর্টের সঙ্গেও দারুণ ভাবে মানিয়ে নিয়েছো। আমার লড়াই আরও বাড়ল। এর আগে মাত্র একবার-দু’বার এই কোর্টে তুমি খেলেছো। এই প্রতিযোগিতার আগে ঘাসের কোর্টে দু’-একটা প্রতিযোগিতাতেও জিতেছো। এত তাড়াতাড়ি ঘাসের কোর্টের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে ভাবতে পারিনি।”
প্রথম সেটে জয় পাওয়ার পর, পরের দুই সেটে পিছিয়ে পড়েন জোকোভিচ। এরপর চতুর্থ সেটে আবার প্রত্যাবর্তন করেন। কিন্তু পঞ্চম সেটের তৃতীয় গেমে ব্রেক হওয়ার পরেই আর ম্যাচে ফেরেননি। জোকারের কথায়, তখনই বুঝেছিলেন আর ম্যাচে ফেরা সহজ হবে না। এই নিয়ে জোকোভিচ বলেন,” এধরনের ম্যাচে কখনওই হারতে চাই না। কিন্তু মনটা স্থির হলে বুঝতে পারব আমি কতটা ভাগ্যবান। এর আগের কয়েকটা বছরে অনেক কঠিন ম্যাচ জিতেছি। ২০১৯ সালে ফেডেরারের বিরুদ্ধে ম্যাচের কথাই মনে করুন। দু-দু’বার চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট থেকে একধাপ দূরে ছিল ফেডেরার। সেখান থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছি। অনেকগুলো ফাইনালেও হারের মুখ থেকে জিতেছি। তাই এবার মনে হয় শোধবোধ হয়ে গেল।”

এরপরই আবেগ সামলাতে পারলেন না জোকোভিচ। পরিবারের কথা উঠতেই, চোখে জল চলে আসে তাঁর। দর্শকাসনে দিকে তাকিয়ে জোকোভিচ বলেন “ওখানে আমার ছেলে বসে রয়েছে। দেখে ভাল লাগছে যে ওরা এখনও হাসছে। এরপরই জোকোভিচের চোখ ভিজে যায়। জোকার বলেন, তোমাদের সবাইকে আমি ভালবাসি। আমার পাশে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।”
আরও পড়ুন:উইম্বলডনে নতুন রাজা, জোকোভিচকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কার্লোস আলকারাজ















































































































































