লোকসভা ভোট (Loksabha Election) আসতে এখনও বাকি একটা বছর। তার আগেই দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কৌশলী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ছিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তৃণমূল নেতা বলেছিলেন, “পঞ্চায়েতে হেরে গিয়ে শুভেন্দু বলেছেন, লোকসভায় নাকি দেখে নেবেন। চ্যালেঞ্জ করছি, ক্ষমতা থাকলে লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর থেকে দাঁড়ান। দম থাকলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘোষণা করুন”! তাঁর সেই মন্তব্যের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীর নামে দেওয়াল লিখন। খেজুরি বিধানসভার ভগবান-২ ব্লকের বড়বড়িতে এমনই ছবি ঘিরে জোর শোরগোল। দেওয়ালে লেখা হয়েছে, “কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পদ্ম চিহ্নে ভোট দিন।” পাশে পদ্মর ছবি আঁকা। কেন এমন দেওয়াল লিখন। কুণালের মন্তব্যের পর এমন ঘটনা সামনে আসতেই অনেকে দু’য়ে দু’য়ে চার মেলাতে শুরু করছেন। তাহলে কী কুণালের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন শুভেন্দু?

ঠিক কী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ছিলেন কুণাল ঘোষ?
কুণাল ঘোষ গতকাল রবিবার বলেছিলেন, “গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় গোহারা হেরেছে। শুভেন্দু বলেছে লোকসভায় নাকি ও দেখে নেবে। আমি শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ করছি ওর যদি ক্ষমতা থাকে ও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘোষণা করুক লোকসভা ভোটে ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তোমার ক্ষমতা থাকলে তুমি বলো তুমি লড়বে। আমাদের গাছ, পাথর দাঁড় করিয়ে জিতিয়ে আনব।”
তাঁর নামে দেওয়াল লিখন প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী কী বললেন?
শুভেন্দুর কথায়, “দেওয়াল যে লিখেছে তাঁকে প্রশ্ন করুন। ওটা যে তৃণমূল লেখেনি তার কী মানে আছে? তৃণমূলের অনেকেই তো চাইছে আমি বিধানসভা ছেড়ে দিল্লি পালাই।”
যিনি এই দেওয়াল লিখেছেন সেই শুভাশিস পণ্ডিত কী বললেন?
শুভাশিস পণ্ডিতের বক্তব্য, “আমরা দেওয়াল লিখেছি, কারণ আমরা শুভেন্দুবাবুকে চাইছি। আমরা ওনাকে দেখেই রাজনীতিতে এসেছি। শুভেন্দুবাবু ছাড়া আমাদের কোনও গতি নেই। অন্যায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে একমাত্র শুভেন্দুবাবু লড়ছেন, তাঁর সঙ্গী হয়ে আমরা লড়ছি। তাই লোকসভার প্রার্থী হিসাবে ওনার নামটা আমরা প্রথম ঘোষণা করেছি।”

এদিন কুণাল ঘোষ কী বললেন?
কুণাল ঘোষের কথায়, “পূর্ব মেদিনীপুরে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু পিছিয়ে ১০৪৫৭ ভোটে। যদি জেলায় কাঁথি আর তমলুককে দুটি লোকসভা হিসেবে ধরা যায়, তাহলে দুটিতেই বিপুল লিড তৃণমূলের। জেলা পরিষদের আসনগুলিতে বিজেপিকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারী বড় বড় কথা বলছিল, লোকসভায় দেখে নেবো। সে জন্যই চ্যালেঞ্জ করেছি লোকসভায় জিতে দেখাও। ওর যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে দেখে নেবো দেখে নেবো না বলে ঘোষণা করুক, লোকসভায় ও ভোটে দাঁড়াবে। কে নাকি ওর নামে একটা দেওয়াল লিখে দিয়েছে, তাতেই নাকি হাঁটু কাঁপছে। লোকসভায় দেখে নেবো বলতে পাচ্ছে, আর ভোটে দাঁড়াবে বলতে পারছে না। আর ওকে কেউ সরাতে চায় না। শুভেন্দু যেখানে থাকবে সেখানে তৃণমূলের পক্ষে ভোট হবে। শুভেন্দু বিজেপি হয়ে যেখানেই সামনের সারিতে থাকবে, সেখানে তৃণমূল ভোট বেশি পাবে। কারণ, মানুষ শুভেন্দুকে প্রত্যাখ্যান করেছে। শুভেন্দু নৈবেদ্যর নাড়ুর মতো থাকলে তৃণমূলের ভোট নিশ্চিত হবে। মানুষ ওর মতো চোর, চিটিংবাজ, বেইমানকে ভোট দেবে না।”














































































































































