কাঠগড়ায় আয়োজক সংস্থা! টাইটান বি.পর্যয়ে সামনে এল চা.ঞ্চল্যকর তথ্য   

0
1

গত মাসেই আটলান্টিক মহাসাগরের (Atlantic Ocean) তলায় ভেঙে পড়ে সাবমেরিন টাইটান (Submarine Titan)। মর্মান্তিক পরিণতি ঘটে সাবমেরিনে থাকা পাঁচ যাত্রীর। আর এরপর থেকেই উঠে আসছে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ। তবে ঠিক কী কারণে ভেঙে পড়ল সাবমেরিন টাইটান? এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন নিউ ইয়র্কের (New York) একদল ইঞ্জিনিয়ার। ওই ইঞ্জিনিয়ারদের অভিযোগ, সাবমেরিনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে না দেখেই তড়িঘড়ি টাইটানের অভিযান শুরু করেছিল আয়োজক সংস্থা ওশানগেট (Ocean Gate)।

ইঞ্জিনিয়ার দলের আরও অভিযোগ, খরচ কমাতেই খারাপ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। আর তার জেরেই সাবমেরিন টাইটান ভেঙে পড়েছে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন নিউ ইয়র্কের ওই ইঞ্জিনিয়ার দল। পাশাপাশি কী করে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস (New York Times)। সেখানেই একাধিক ইঞ্জিনিয়ারের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। তাঁদের মতে, খরচ কমাতে ত্রুটিপূর্ণ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল টাইটান সাবমেরিনে। এছাড়াও সাবমেরিনটিকে টেনে তোলার জন্য যে মাদারশিপ থাকে, সেটিও অত্যন্ত নিম্নমানের ব্যবহার করা হয়েছিল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে সাবমেরিনে যাত্রী বহনের ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে পাঁচজনকে নিয়ে সাগরে পাড়ি দিল টাইটান? তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। ৯ ফিট লম্বা ও ৮ ফিট চওড়া ছিল এই সাবমেরিন টাইটান। তবে ডুবোজাহাজ তৈরির যে নির্দিষ্ট নিয়মাবলি ছিল, সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলিই মানা হয়নি বলে অভিযোগ।

পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, টাইটানিয়ামের মতো শক্তিশালী ধাতুর পরিবর্তে কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি হয়েছিল ওই সাবমেরিনের সিলিন্ডার। আর সেই কারণেই জলের তলায় প্রবল চাপের মধ্যে ভেঙে পড়ে সাবমেরিন। সব মিলিয়ে, ওশানগেট সংস্থার গাফিলতির জেরেই এমন বিপর্যয় বলেই মত ইঞ্জিনিয়ারদের। গত ১৮ জুন সমুদ্রের গভীরে যাত্রা শুরু করে টাইটান। কিন্তু এর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরেই তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। বেশ কয়েকদিন পরে পাওয়া যায় সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ। সন্ধান মেলে সাবমেরিনে থাকা পাঁচ যাত্রীর দেহাংশেরও। কী করে ওই ডুবোজাহাজটি ভেঙে পড়ল তা অবশ্য জানা যায়নি।