নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া গণতন্ত্রবিরোধী! বঙ্গ বিজেপির ১৮০° উল্টো পথে দিলীপ

0
1

বঙ্গ বিজেপির নেতারা যখন বাংলায় ৩৫৫-৩৫৬ করার দাবি তুলে লাফাচ্ছেন, এরাজ্য অরাজকতায় তৈরির ষড়যন্ত্র করছেন, তখন একেবারে উল্টো সুর শোনা গেল বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) গলায়। সোমবার, সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তিনি স্পষ্ট জানালেন, জনমতে তৈরি হওয়া কোনও সরকার ভেঙে দেওয়াকে আসলে গণতন্ত্রবিরোধী।

বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder), বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মতুয়া গোষ্ঠীর নেতা শান্তনু ঠাকুর- রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে ফেলার ছক কষছেন তাঁরা। পঞ্চায়তে ফের ভরাডুবির পরে ব্যর্থতা ঢাকতে বঙ্গ বিজেপি-র নেতা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রবল শোরগোল শুরু করেছেন। এদিক, এই দিলীপকে প্রশ্ন করা হলে, বঙ্গ বিজেপির নেতাদের উল্টো পথে হাঁটেন দিলীপ। বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় ৩৫৫ কিংবা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করার কথা ভাবছে কি না, আমার ঠিক জানা নেই। পশ্চিমবঙ্গে আগে কখনও তা হয়েছে কি না, জানি না। সম্ভবত, বিজেপিও কোনও রাজ্যে এটা করেনি।’’ এরপরেই বঙ্গ বিজেপি মুখে সপাটে জবাব দিলীপের। বলেন, ‘‘বাংলায় গণতন্ত্রকে হত্যা করার অনুমতি কে দিয়েছে? মানুষের জনমতে সরকার তৈরি হয়েছে। তাকে ভেঙে দেওয়াটাও গণতন্ত্রবিরোধী।’’ যদিও এটাকে দিলীপের নিজস্ব ব্যক্তিগত মত, দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই- বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন সুকান্ত।

এদিন দিলীপের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ‘‘বিজেপি ক্যালেন্ডার রাজনীতি করে। দিলীপ যা বলেছেন, তা ঠিকই। জনগণের সরকার ভেঙে দেওয়া তো অবশ্যই গণতন্ত্রবিরোধী। এটা করলে বিজেপিরই ক্ষতি হবে।’’

বারবারই বিজেপির ট্রেনি সভাপতি ও তৎকাল বিজেপি বিধয়কের সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে দিলীপ ঘোষের। বাংলায় গেরুয়া শিবিরের কোনও গুরত্বপূর্ণ বৈঠকেও তিনি তেমন জায়গা পান না। বিভিন্ন সময়ই বঙ্গ বিজেপি-র নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর মত পার্থক্য দেকা দিয়েছে। এবার একেবারে ১৮০ডিগ্রি উল্টো অবস্থান দুই শিবিরের।