সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের বেশকিছু জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। সেই নিরিখে গত ১০ জুলাই রাজ্যের ৬৯৬টি বুথে পুনরায় ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই ভোট নির্বিঘ্নেই হয়। ১১ জুলাই গণনা হয়। তবে ফলাফলের পর একটি মহল থেকে বিশেষ করে সিপিএমের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় রটিয়ে দেওয়া হয় পুনর্নির্বাচনের সিংহভাগ আসনে বাম প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। সবচেয়ে কম আসন পেয়েছে তৃণমূল। যদিও সমস্ত তথ্য হাতে না আসায় শাসক দলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
কিন্তু সমস্ত জেলা থেকে তথ্য আসার পর ৬৯৬ আসনে পুনর্নির্বাচনের ফলাফলের আসল তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করে শাসক দলের নেতারা। নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল তথ্য বলছে, পুনর্নির্বাচনের সিংহভাগ আসনেই জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
তৃণমূলের আইটি সেলের দায়িত্বে থাকা দেবাংশু ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য দিয়ে একটি পোস্ট করেন। তৃণমূল যুবনেতা লেখেন, “সমস্ত জেলা থেকে তথ্য আসার পর পুনর্নির্বাচনের ফলাফলের আসল তথ্য জানতে পারলাম। এবং তারই সঙ্গে সিপিএম দলটা কোন স্তরের মিথ্যেবাদী সেটাও আন্দাজ পেলাম…!”
মোট আসন: ৬৯৬ । মোট বুথ: ৭৬২
তৃণমূল কংগ্রেস: ৪৭০
বিজেপি: ১০৩
কংগ্রেস: ৯১
সিপিএম: ৬২
নির্দল: ২৬
অন্যান্য: ১০
সুতরাং, যে সিপিএম নিজেদের প্রথম বলে দাবি করছিল, আসলে তারা চতুর্থ। সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোড়া পুনর্নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেসের থেকেও খারাপ ফল হয়েছে তাদের। ৩৪ বছর বাস্তবের মাটিতে ছাপ্পা দিতে দিতে এখন ফেসবুকেও ছাপ্পা মেরে ফল প্রকাশ করছে! নির্লজ্জ, বেহায়া আর আগাপাঁচতলা মিথ্যেবাদীর দল!”








































































































































