৫২ কোটি খরচ করেও পঞ্চায়েতে বিজেপির ভাঁড়ার শূণ্য, অনেক প্রার্থীর হাতেই পৌঁছয়নি টাকা

0
1

এবার পঞ্চায়েত ভোটে দেদার খরচ করেছিল বিজেপি। কিন্তু নিট ফল জিরো। বিধানসভার মতো গ্রাম বাংলার মানুষ ফের মুখ ফিরিয়েছে গেরুয়া শিবিরের দিক থেকে। পাঁচবছর আগে ২০১৮ সালের ভোটে বিজেপি যেখানে সব মিলিয়ে ২ কোটি টাকা খরচ করেছিল, সেই জায়গায় তারা এবার খরচ করেছে প্রায় ৫২ কোটি। ২৫ গুণ বেশি খরচ করেও ব্যালট বক্সে তার কোনও ছাপ পড়েনি।

আরও পড়ুন:সপ্তাহের শুরুতেই ব্যারাকপুরে রেল অবরোধ, স্তব্ধ শিয়ালদহ মেন শাখার ট্রেন চলাচল

সূত্রের খবর, ২০১৮ সালে বঙ্গ বিজেপির ৩৯টি সাংগঠনিক জেলা ছিল। ওই বছর পঞ্চায়েত ভোটে প্রত্যেক সাংগঠনিক জেলার জন্য বিজেপি ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল। জেলা সভাপতিদের মাধ্যমে প্রার্থীদের সেই টাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে দলের সাংগঠনিক জেলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৩। এবার প্রত্যেক প্রার্থীর হাতে নগদ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। জয়ের সম্ভাবনার নিরিখে তিন ক্যাটিগরির প্রার্থীর জন্য বরাদ্দ ছিল যথাক্রমে ১ লক্ষ, ৮০ হাজার এবং ৫০ হাজার টাকা।

পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে বিজেপির ৮ হাজার ৬৯২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁদের প্রত্যেকের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ ছিল। এই স্তরে বিজেপির ২১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৪৪ হাজার ১২১টি আসনে লড়েছে বিজেপি। প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার টাকা করে। এই স্তরে বিজেপির খরচ করেছে ১৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা।

এরই মধ্যে আবার নতুন বিতর্ক। টাকা বরাদ্দ হয়ে গেলেও অনেক প্রার্থী কিছুই পাননি বলে অভিযোগ করছেন। যেমন দলের সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন সহ-সভাপতি সামসুর রহমানের অভিযোগ, দিল্লি কোটি কোটি টাকা পাঠালেও অনেক প্রার্থী কিছুই পাননি। রাজ্য স্তরের কিছু নেতার পাশাপাশি জেলা সভাপতিদের একাংশ সেই টাকা লুট করেছে।