ক্যানিংয়ে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে কু.পিয়ে খু.ন, বাসন্তীতে গু.লিবিদ্ধ শাসক দলের কর্মী

0
2

সন্ত্রাস অব্যাহত। ভোটের পরেও শাসক দলের নেতা-কর্মীদের উপর লাগাতার হামলার ঘটনা ঘটছে। যা প্রাণহানি পর্যন্ত হয়েছে। নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে ভাঙড়, বিষ্ণুপুর, মুর্শিদাবাদ, বাসন্তীতে ভোট পরবর্তী হিংসা চালাচ্ছে বিজেপি সহ বিরোধীরা।

ফের দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে তৃণমূলের এক বুথ সভাপতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। জখম অবস্থায় কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও শেষরক্ষা হয়নি।নিহত নান্টু গাজি (‌‌৪২)‌। ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪২ নম্বর গাজিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন।

জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাত ৯ টা নাগাদ তিনি সাতমুখী বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, তেঁতুলতলা এলাকায় তখন ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী নান্টু গাজিকে ঘিরে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। সাহিনা গাজি নামে এক মহিলাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম নান্টু ও সাহিনাকে রাতের অন্ধকারে রাস্তায় ফেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

এদিকে রাত বাড়লেও বাড়ি না ফেরায় বুথ সভাপতির পরিবারের লোকজন তাঁর খোঁজ শুরু করেন। রাত ২টো নাগাদ তেঁতুলতলা গাজিপাড়া এলাকায় রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখান থেকে নান্টুকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, এই খুনের পিছনে রয়েছে আইএসএফ।

অন্যদিকে, ফের বাসন্তীতে গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল কর্মী। বাসন্তীর ৪ নম্বর গোড়ানবোস এলাকার ঘটনা। বাজার থেকে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ শামিম সর্দার। জখম অবস্থায় তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম-এ নিয়ে আসা হয়। আর এস পি-এর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ।