ভাতারে বেপরোয়া অ্যাম্বুল্যান্স পরপর ধাক্কা মারল এক সাইকেল আরোহী, মোটরবাইক আরোহী ও দুই পথচারীকে। এরপর সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা রোগী, সাইকেল আরোহী ও এক পথচারী। ঘটনায় জখম আরও পাঁচজন। শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার নতুনগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে বর্ধমান সিউড়ি ২ বি জাতীয় সড়কে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে বীরভূমের রামপুরহাট হাসপাতাল থেকে অনন্ত লেট নামে এক রোগীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরিবারের লোকেরা অ্যাম্বুল্যান্সে করে বর্ধমানে আনছিলেন তাঁকে।রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় অ্যাম্বুল্যান্সের গতি ছিল প্রচণ্ড। নতুনগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে অ্যম্বুল্যান্সটি প্রথমে উল্টোদিক থেকে আসা একটি বাইকে ধাক্কা দেয়। বাইকে ছিলেন দু’জন। এরপর এক সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দিয়ে পিষে দেয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। তারপর রাস্তার একপাশে থাকা দুই পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটি উল্টে যায়।
অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা রোগীর পরিজন, জখম বাইক আরোহী, পথচারী এবং সাইকেল আরোহীকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদের নাম অনন্ত লেট (৭০), সাইকেল আরোহী তাপস ঘোষ (২৬) এবং বাইক আরোহী আব্দুল রহিম (৩০)। দুর্ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে যায় গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ অ্যাম্বুল্যান্সটি আটক করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জনবহুল এলাকা হলেও জাতীয় সড়ক দিয়ে বেপরোয়াভাবে গাড়িগুলি চলাচল করে। যার ফলেই এমন দুর্ঘটনা। এর আগেও একাধিকবার এই এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় সড়কপথের উপর স্পিডব্রেকার করা হোক।






 
 
 
 
































































































































