যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিভে ফের জ্বলল আগুন। বৃহস্পতিবার রাতভর কিভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল রাশিয়া। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে ড্রোন-বৃষ্টি। যার জেরে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম চার।মৃত্যুভয়ে বিনিদ্র রাত কাটাল শহরবাসী। কিভের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাতভর ভেসে এল বিস্ফোরণের শব্দ।
আরও পড়ুন:পঞ্চায়েত ভোটের দিন বিরোধীদের হা.মলায় আ.হত তৃণমূল কর্মীর মৃ.ত্যু এনআরএসে
কিভের সেনা প্রশাসনের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়েছে, ‘‘আজ রাতে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে। একের পর এক ইরানি ড্রোন এসে পড়েছে।’’ প্রসঙ্গত, এর আগেও বহুবার ইউক্রেন অভিযোগ জানিয়েছে, ইরানের তৈরি বিস্ফোরকবাহী ড্রোন ‘শাহিদ’ ব্যবহার করছে রাশিয়া। যদিও ইরান সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাশিয়াও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কিভের দাবি, গতকাল রাতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে আছড়ে পড়ে ইরানের তৈরি শাহিদ। কমপক্ষে এক ডজন ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে। সব মিলিয়ে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ২০টি রুশ ড্রোন ধ্বংসের খবর মিলেছে। ইউক্রেনের বায়ুসেনার মুখপাত্র ইউরি ইগনাট বলেন, ‘‘আমাদের এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে। ২০টি শাহিদ নামানো হয়েছে গুলি করে। দু’টি ক্যালিবর ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।’’

এই হামলায় ২৩ বছরের এক যুবক ও ১৯ বছর বয়সি একটি তরুণী শার্পনেলে জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। কিভের ডারনিতস্কি অঞ্চলে বাড়ির ভগ্নস্তূপে চাপা পড়ে দু’জন জখম হয়েছেন। সোলোমিনস্কি, শেভচেনকিভস্কি, পোডিলস্কি ও ডারনিতস্কি অঞ্চলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কাছে একের পর এক ফোন আসতে থাকে। কিভের মেয়র ভিটালি ক্লিৎস্ককো জানিয়েছেন, পোডিলস্কি অঞ্চলে একটি বাড়িতে আগুন ধরে যায়। ওই বাড়িটি থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শেভচেনকিভস্কিতেও একটি বাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছিল।
যুদ্ধ জারি রয়েছে পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুটেও। দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে এক মাস হল বাখমুট রাশিয়ার দখলে। কূটনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিকে হাতছাড়া হওয়া আটকাতে মরণপণ লড়েছে ইউক্রেনও। শেষমেশ পরাজিত হলেও প্রকাশ্যে হার স্বীকার করেনি কিভ। এখনও লড়াই জারি রয়েছে। আজ ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হ্যানা মালিয়ার বলেছেন, ‘‘আমরা আরও এগিয়েছি। একটু একটু করে শত্রুদের ঘাঁটি ভেদ করছে আমাদের বাহিনী।’’















































































































































